বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ হবে। বুধবার সকালে সংসদ সদস্যদের শপথ ও সংসদ নেতা নির্বাচন হবে। এতে আবারও প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভায় অন্যান্য সদস্য কারা হচ্ছেন, তা নিয়ে নির্বাচনের পর থেকেই আলোচনা চলছে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) শপথের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এবারে কিছুটা ভিন্নতা থাকবে মন্ত্রিসভায়। যুক্ত হতে পারে নতুন মুখ।
সূত্র বলছে, এবারের মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন।
তরুণদের মধ্যে যোগ হতে পারেন ঢাকা-১৭ (গুলশান-বনানী-ক্যান্টনমেন্ট) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত।
অন্যদিকে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম নতুন মন্ত্রিসভায় যুক্ত হতে পারেন।
টেকনোক্র্যাট কোটায় আবারও মন্ত্রিসভার সদস্য হতে পারেন সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। জামালপুর-৫ (সদর) আসনের এমপি ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং নড়াইল-২ আসনের এমপি ও ক্রিকেট তারকা মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকেও মন্ত্রী বানাতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র বলছে, দলটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের অন্যতম সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদও মন্ত্রী হওয়ার আলোচনায় আছেন।
তবে মন্ত্রিসভায় কাকে নেয়া হবে কিংবা হবে না; সেই সিদ্ধান্ত একান্তই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এখতিয়ার বলেও জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা।
এরআগে মঙ্গলবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, আপনারা জানেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন হওয়ার পরে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আগামী ১১ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিকেলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি। ঐতিহ্যগতভাবেই শপথ অনুষ্ঠান বঙ্গভবনে হয়ে থাকে। আমরা সন্ধ্যা ৭টায় শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
যারা মন্ত্রী হবেন, তাদের বায়োডাটা হাতে এসেছে কি না এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদের সচিব বলেন, ‘প্রস্তুতির ওই অংশে আমরা এখনও যাইনি।’ মন্ত্রীদের তালিকা প্রস্তুত হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ওই কাজটিও এখনও করা হয়নি। খসড়াও আসেনি।
সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের তালিকা পাবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সে অনুযায়ী নতুন মন্ত্রীদের শপথের জন্য আলাদা আলাদা ফোল্ডার প্রস্তুত করতে হবে। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপমন্ত্রীদের চালকসহ সার্বক্ষণিক গাড়ির সুবিধা দেয়ার দায়িত্ব সরকারি যানবাহন অধিদফতরের।