এক ভুয়া ডাক্তারকে ভ্রাম্যমান আদালতের ৩ মাসের জেল এবং ১লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন

0
13
ভুয়া
এক ভুয়া ডাক্তারকে ভ্রাম্যমান আদালতের ৩ মাসের জেল এবং ১লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন

উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান ইসলাম শোভন ও গোপালগঞ্জ জেলার ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার আহমেদের নেৃতৃত্বে ১৫ সেপ্টেম্বর সোমবার মুকসুদপুর উপজেলার আদমপুর বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে রেজাউল করিম নামে এক ভন্ড ডাক্তারকে ৩ মাসের জেল এবং ১লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের থেকে জানা গেছে, মুকসুদপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের আদমপুর বাজারে রেজাউল করিম নামে একভন্ড ডাক্তার না হয়েও ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ভুয়া প্রেসক্রিপশন করে,জটিল রোগের চিকিৎসা প্রদান এমন কি অস্ত্রোপচার করে আসছিলেন দীর্ঘদিন যাবৎ।

তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে অনেক ভুক্তভোগী মাতৃমৃত্যু, অঙ্গহানি,প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত পরিমানে এন্টি বায়োটিক ব্যবহার,রোগীর অর্থ অপচয়সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।কিন্তু পর্যাপ্ত তথ্য প্রমানের অভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি। ইতোপূর্বে একাধিকবার চেস্টা করেও তাকে না পাওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান ইসলাম শোভন,গোপালগঞ্জ জেলার ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার আহমেদ এবং গোপালগঞ্জ জেলার ড্রাগ সুপার বিথী রানী মন্ডল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আকস্মিক একটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এসময়ে ভন্ড রেজাউল করিমকে হাতে নাতে রোগী দেখা অবস্হায় ধরেন।

দেখা যায় তিনি চিকিৎসক না হয়েও এমন কি যথাযথ প্যারামেডিকেল ট্রেনিং না থাকার পরেও নামের আগে ডাক্তার লিখে প্রেসক্রিপশন প্যাড ব্যবহার করছেন, এন্টি বায়োটিক ওষুধ লিখছেন। এমনকি তার টিনের দোকানের মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগী ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেন। তিনি ড্রাগ লাইসেন্স এবং ফার্মাসিস্ট লাইসেন্স ছাড়া ওষুধের দোকান পরিচালনা করছিলেন।

তার দোকানে বিপুল পরিমান মেয়াদোত্তীর্ন ওষুধ বিক্রয়াধীন সেলফে পাওয়া যায়। ভ্রাম্যমান আদালত তাকে বিভিন্ন ধারায় মোট ৩ মাসের জেল এবং ১লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। তার দোকান পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। উল্লেখ্য আদমপুর গ্রামের একাধিক ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারীরা আজ ঘটনাস্হলে অত্র এলাকার সাধারন জনগনের ব্যাপক বাধার মুখে পড়ে।

কে এম আবু বক্কার
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার্স