উৎসব মানে মেহেদীর রঙে হাত রাঙানো। প্রাচীনকাল থেকে মেহেদী রঙে হাত সাজানো জনপ্রিয় একটি রীতি। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে মেহেদির ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। ঈদ, বিয়ের উৎসবে হাতের সভা বৃদ্ধি করার প্রধান উপকরণ মেহেদি। শুধু তাই নয় এখন ছোট কিংবা বড় যেকোনো আয়জনে মেহেদির জুড়ি নেই। ধর্মীয় উৎসবেও মেহেদির রঙে হাত রাঙানোর প্রচলন রয়েছে।
এমন অনেক মেয়ে আছেন যারা মন খারাপ হলে মেহেদির রঙে নিজের হাত সাজাতে পছন্দ করে। ঈদ উৎসবে বাড়তি আনন্দ যেন মেহেদি হাতে রাঙানো। ছোট -বড় সব বয়সের মেয়েরাই মেহেদি রঙে হাত সাজাতে পছন্দ করে। তাই সব কেনাকাটার পাশাপাশি মেহেদি চাই চাই! আর বাজারের সব থেকে ভালো মেহেদীগুলোর মধ্যে মমতাজ গোল্ড নং-১, মমতাজ কোণ নং-১, জয়া ব্রাইডল মেহেদি। মমতাজ মেহেদি BSTI অনুমোদিত তাই নকল হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই নকল এড়াতে মমতাজ মেহেদি কেনার আগে মেহেদির গায়ে BSTI দেখে কিনুন।
যেকোনো রঙের ত্বকেই গাঢ় রঙের মেহেদির নকশা বিশেষভাবে নজর কাড়ে সবার। তবে ঈদে মেহেদির নকশা বেছে নিতে পারেন, কেমন পোশাক পরবেন সেই ধরনটি মাথায় রেখে।
মেহেদীর ব্যবহার
প্রাচীন যুগ থেকেই পৃথিবীতে মেহেদির ব্যবহার চলে আসছে। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্থানে ঈদ ও বিয়ে উপলক্ষে এর ব্যবহার অনেকটা বেশি দেখা যায়। ছত্রাক-রোধী হিসেবেও মেহেদি কার্যকর। পোকা দমনেও মেহেদি ব্যবহৃত হয়। মেহেদি পেস্টের পিএইচ মান ৫.৫ হলে এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতে, মেহেদী লাগানোর আগে হাতে লোশন জাতীয় কিছু লাগাবেন না। মেহেদীর ভালো রং পেতে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে ও মুছে নিতে হবে। মেহেদি শুকিয়ে যাবার পর সামান্য লেবুর রস তুলায় করে লাগাতে পারেন। চিনি-পানি লাগানো যায়।