আসন্ন ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করা যাবে না। ঈদের জামাতে অংশ নিতে পরতে হবে মাস্ক, নামাজ আদায়ের সময় এক কাতার ফাঁকা রেখে দাঁড়াতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এসব নির্দেশনা দিয়েছে।
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনে আটটি নির্দেশনাঃ
১. আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করা যাবে না।
২. সবাইকে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে ঈদগাহে বা মসজিদে যেতে হবে।
৩. করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদ/ঈদগাহের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
৪. ঈদের নামাজের জামায়াতে যাওয়া মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদ/ঈদগাহে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৫. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।
৬. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে খতিব ও ইমামদের দোয়া করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
৭. খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
৮. পশু কোরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আগামী ১০ জুলাই উদযাপিত হতে যাচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আসন্ন ঈদ উদযাপনে আট দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।