ই-কমার্সে নতুন ফাঁদ ‘রিং আইডি’

0
49
রিং আইডি
ই-কমার্সে নতুন ফাঁদ ‘রিং আইডি’

যুগের উন্নয়নে ই-কমার্সে পণ্য ও সেবা কেনাবেচার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। একইসাথে দেশে বাড়ছে ব্যাঙের ছাতার মতো নতুন নতুন ই-কমার্স ওয়েবসাইট। আর এইসব কিছু ওয়েবসাইটে নজরকাড়া অফার দিয়ে খুব সহজেই গ্রাহকদের কাছ হয়ে উঠছে জনপ্রিয়।

এই জনপ্রিয়তার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। এমনই একটি ই-কমার্স মাধ্যম হলো ‘রিং আইডি’। ইঅরেঞ্জ ও ইভ্যালির মতো রিং আইডিতেও বিনিয়োগ করে অনেক গ্রাহক এখন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

কয়েকজন গ্রাহক জানান, ‘গোল্ড মেম্বারশিপ’ কেনার জন্য এক মাস আগে ২২ হাজার টাকা করে পেমেন্ট করেন তারা। অ্যাকাউন্ট থেকে টাকাও কেটে নেওয়া হয়। কিন্তু তাদের আইডি এখনও অ্যাকটিভ হয়নি । এ বিষয়ে তাদের সাথে জায়গায় যোগাযোগ করেও কোন কাজ হয়নি। এভাবে মেম্বারশিপের নামে শত শত গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে রিং আইডি।


চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে রিং আইডি ‘কমিউনিটি জবস মেম্বারশিপ’ চালু করে। মেম্বারশিপের মাধ্যমে এখানে বিনিয়োগ করে টাকা আয়ের সুযোগ দেওয়া হয়। এজন্য বর্তমানে দুটি প্যাকেজ অফার রয়েছে। সিলভার মেম্বারশিপ ও গোল্ড মেম্বারশিপ।

সিলভার মেম্বারশিপের মূল্য ১২ হাজার টাকা এবং গোল্ড মেম্বারশিপের মূল্য ২২ হাজার টাকা। পাশাপাশি এখানে আরও দুটি প্রবাসী প্যাকেজ রয়েছে। ‘প্রবাসী গোল্ড’ ২৫ হাজার টাকা এবং ‘প্রবাসী প্লাটিনাম’ ৫০ হাজার টাকা।


মেম্বারশিপ পাওয়ার পরই গ্রাহকদের আইডিতে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। ওই বিজ্ঞাপন গ্রাহক যত দেখেন ততই ইনকাম। এভাবে রিং আইডি কমিউনিটি জবস মেম্বারশিপের সিলভার প্যাকেজ থেকে প্রতিদিন ২৫০ টাকা এবং প্রতি মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকা, গোল্ড মেম্বারশিপ থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা এবং প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে দাবি করা হয়।

এছাড়া প্রবাসী গোল্ড মেম্বারশিপ থেকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা এবং প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা, প্রবাসী প্লাটিনাম প্যাকেজ থেকে প্রতিদিন এক হাজার টাকা এবং প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয়ের সুযোগ আছে বলে অফার দেয় রিং আইডি।


এমন লোভনীয় অফার দেখে সেখানে বিনিয়োগ করলেও অনেক গ্রাহব হারাচ্ছেন তাদের কষ্টার্জিত পুঁজি।


ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো একটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম রিং আইডি। যা কানাডার মন্ট্রিয়াল সিটিতে অবস্থিত ‘রিং ইনকরপোরেশন’ থেকে পরিচালিত। এর আইডি ব্যবহারকারীরা বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেন। এ প্লাটফর্মে বিনামূল্যে কল, মেসেজ, স্টিকার, গোপন চ্যাট (সিক্রেট চ্যাট) করার সুযোগ রয়েছে। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে প্রাথমিক সংস্করণ সম্পন্ন করে প্রতিষ্ঠানটি।


তাদের অফিসিয়াল ই-কমার্স ওয়েবসাইট- www.ringid.com প্রতিষ্ঠাতা কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আইরিন ইসলাম ও শরিফ ইসলাম। এটি বাংলাদেশি কোম্পানি বলে দাবি করা হলেও প্রতিষ্ঠাতারা দেশের বাইরে থাকেন বলে জানা গেছে।


দেশের বাইরে থাকায় রিং আইডিতে বিনিয়োগ করা অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়েও জটিলতা তৈরি হবে— মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।