বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধন রয়েছে বলে ইমরান খান যে অভিযোগ তুলেছেন, তাতে সত্যতা নেই বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইমরানের অভিযোগ খারিজ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জালিনা পোর্টার।
এক প্রশ্নের উত্তরে জালিনা পোর্টার বলেন, ‘আমি একদম সরাসরি ও স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, এই অভিযোগের মধ্যে কোনো সত্যতা নেই। পাকিস্তানের সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
গত ২৭ মার্চ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অভিযোগ তোলেন, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন সরকারকে উৎখাত করতে বিরোধীদের ইন্ধন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অভিযোগে তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিরোধীদের হুমকি দিয়েছেন যে, যদি ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে না সরানো হয়, সেক্ষেত্রে পাকিস্তানকে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
গত মার্চ মাস থেকেই ইমরান খান তার বিরুদ্ধে বিদেশি ষড়যন্ত্র হওয়ার কথা বলে আসছিলেন। হুমকি দেওয়া একটি চিঠিও তিনি সাংবাদিকদের দেখাবেন বলে জানিয়েছিলেন।
অবশ্য পরে তিনি বলেন, ওই চিঠিটিতে পাকিস্তানের ‘গোপন কোড’ থাকায় সেটি প্রকাশ্যে আনা যাবে না।
ইমরানের ওই অভিযোগের মধ্যেই গত ২৮ তার বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব ওঠে এবং প্রস্তাব পরে নাকচ করে দেন ডেপুটি স্পিকার। পরে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট তা ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করে বাতিল করে দেন।
তারপর শুক্রবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ফের একই অভিযোগ তোলেন ইমরান; বলেন, ‘এই অনাস্থা প্রস্তাবে বিদেশি হস্তক্ষেপ ছিল। আমি চেয়েছিলাম সুপ্রিম কোর্ট অন্তত এ বিষয়টিতে নজর দেবে। অন্য একটি দেশ চক্রান্ত করে পাকিস্তান সরকারের পতন ঘটাতে চায়—এটি একটি গুরুতর অভিযোগ।’
তবে ইমরান খানের এই অভিযোগের সত্যতা নেই বলে দাবি করলেও সংবাদ সম্মেলনে জালিনা পোর্টার বলেন, পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষণে আছে।
‘অবশ্যই আমরা পকিস্তানের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং পাকিস্তানের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও সমর্থন আমাদের রয়েছে।’
‘তবে আমি আবারও বলছি, যে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে— তা সত্য নয়।’