১৮ বছর বয়সে ইতিহাস গড়ে চ্যাম্পিয়ন হলেন ১৮ বছরের এমা রাডুকানু। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের আগে এ বছরের উইম্বলডনেই প্রথমবার গ্র্যান্ড স্ল্যামে আর্বিভাব ঘটে এমার। এই শতকে প্রথমবার অল টিনএজার ফাইনালে কানাডার লেইলা ফার্নান্ডেজকে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দিয়ে ফ্লাশিং মিডোয় ইতিহাস রচনা করলেন ব্রিটেনের এমা রাডুকানু।
ঘাসের কোর্টে শুরুটা ভালো করেও হতাশাজনকভাবে চতুর্থ রাউন্ডে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জেরে সরে দাঁড়াতে তাকে। ওইসময় তার ভাগ্যে জুটেছিল চাপ সামলাতে না পারার তকমাও। তবে সমালোচকরা তো দূর, এমার অনুরাগীরাও হয়তোই কেউ ভেবেছিলেন মাত্র দুই মাস পরেই ব্রিটিশ তরুণীকে আর্থার অ্যাশে খেতাব হতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাবে।
মাত্র তিন বছর আগেই উইম্বলডন জুনিয়রের দ্বিতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিলেন এমা ও লেইলা। সেই ম্যাচের মতো নিজেদের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যামের লক্ষ্যে কোর্টে নামা দুই তরুণীর লড়াইয়েও বাজিমাত করলেন ১৮ বছরের এমা।
ইউএস ওপেনটা যেভাবে শুরু করেছিলেন, রাদুকানু শেষটাও করলেন সেভাবেই। বেজলাইনের ভেতরে থেকেই প্রতিপক্ষ ধসিয়ে দিয়েছেন প্রতিটি ম্যাচে, পুরো টুর্নামেন্টে হারলেন না একটি সেটেও। এমন বিধ্বংসী রূপের দেখা মিলল ফাইনালেও। আরেক কিশোরী লেইলাহকে উড়িয়ে দিলেন ৬-৪, ৬-৩ গেমে, সরাসরি সেটে।
এদিন গোটা টুর্নামেন্টের ধারা বজায় রেখে একটিও সেট না খুইয়ে ফ্লাশিং মিডোয় নিজের ১০ নম্বর ম্যাচ জিতে খেতাব নিজের নামে করেন এমা। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে শুরুর সময় বিশ্বের ১৫০ নম্বর মহিলা সিঙ্গেলস টেনিস তারকা হিসাবে কোর্টে নামা এমা, কোর্ট ছাড়লেন নিজের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে ২৩ নম্বর টেনিস তারকা হিসাবে।