ইউক্রেনে রাশিয়া যদি রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার করে তাহলে ন্যাটো এর জবাব দেবে বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ।
তিনি বলেন, ন্যাটো এর আগে কখনোই এভাবে এতো ঐক্যবদ্ধ ছিল না। ন্যাটো, জি৭ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে ইউরোপে রয়েছেন জো বাইডেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তিনি ন্যাটো সম্মেলনে অংশ নেন।
শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্য দেখাতে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে জরুরি সম্মেলনে অংশ নিতে যখন বিশ্বনেতারা একত্রিত হয়েছেন, তখন তিনি এসব কথা বললেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার পোল্যান্ড সফরের কথা রয়েছে বাইডেনের। সেখানে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে ২০ লাখের বেশি ইউক্রেনীয় আশ্রয় নিয়েছেন।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যদি ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার করেন, তাহলে ন্যাটোর জবাব কী হবে? এ প্রশ্নে বাইডেন বলেন, ‘এটার জবাব হবে খুব তড়িৎ।’
তিনি বলেন, ‘তিনি যদি এটা ব্যবহার করেন, আমরা তার জবাব দেবো। তিনি কী অস্ত্র ব্যবহার করবেন, তার উপর নির্ভর করবে আমাদের জবাব কেমন হবে।’
ওই সম্মেলনে ইউরোপের পূর্বাঞ্চলে আরও ন্যাটো সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাউন্সিলে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, তার দেশে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে ইউরোপ কিছুটা দেরি করেছে। আগ্রাসন শুরুর আগে ইউরোপ মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি এবং নর্ড স্ট্রিম ২ গ্যাস পাইপলাইনও বন্ধ করে দেয়নি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। দেশটির রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। যুদ্ধে দুই পক্ষেরই ব্যাপক প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষ।
সূত্র জানায়, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের শহরগুলো ঘিরে রেখেছে রুশ সামরিক বাহিনী; হামলা চলছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাশে অবস্থান করছে রুশ বাহিনীর ৪০ মাইল দীর্ঘ একটি বহর। তারা যে কোনো সময় শহরটিতে হামলা চালাতে পারে। রাশিয়ার গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় খারকিভ, মারিওপল শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে।