ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের সামরিক ঘাঁটিতে রুশ সৈন্যরা হামলা চালিয়েছে বলে ইউক্রেন দাবি করেছে। এছাড়া কিয়েভে গোলা বিস্ফোরণের খবরও পাওয়া গেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এক ফেসবুক পোস্টে জানায়, রুশ সৈন্যরা ইউক্রেনের রাজধানীর একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করেছে। তবে হামলাটি প্রতিহত করা হয়েছে।
পৃথক এক খবরে ইন্টারফ্যাক্স ইউক্রেন অ্যাজেন্সি জানায়, রুশ সৈন্যরা নগরীর একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র দখল করার চেষ্টা করছে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রুশ সেনারা রাজধানী কিয়েভ ঘিরে ফেলেছে এবং তারা যেকোনো সময় নগরীতে হামলা চালাবে। তিনি শুক্রবার গভীর রাতে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
জেলেনস্কি বলেন, “আজ রাতটা হবে কঠিন, অত্যন্ত কঠিন, কিন্তু ভোর আসবেই।” তিনি বলেন, “এই রাতে শত্রু আমাদের প্রতিরোধ ভেঙে দিতে সম্ভাব্য সব পন্থা ব্যবহার করবে। আজ রাতেই তারা হামলা করবে।”
শুক্রবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছবি ও ভিডিওসহ এ খবর প্রচার করা হয়েছিল যে, রাশিয়া সেনা ও ট্যাংক রাজধানী কিয়েভের শহরতলীগুলোতে ঢুকে পড়েছে। তবে শুক্রবার রাজধানী শহরটিতে বড় আকারের রুশ হামলা হয়নি।
এদিকে, ইউক্রেন রাশিয়ার একটি বড় পরিসরের সামরিক বিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার ইন-চিফ বলেছেন, তার বাহিনী রাশিয়ার সৈন্যবাহী একটি ইলিউশিন-৭৬ বিমান ভূপাতিত করেছে।
চার ইঞ্জিনবিশিষ্ট ইলিউশিন-৭৬ বিমান বড় আকারের সেনা সদস্যদের পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয়।তবে বিমানটি ভূপাতিত করার ঘটনায় সম্ভাব্য হতাহতের খবর দিতে পারেনি ইউক্রেন এবং দেশটির এ দাবি নিরপেক্ষ সূত্র থেকে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
ফেসবুকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাজধানী কিয়েভের নিকটবর্তী ভ্যাসিলকিয়েভের আকাশে বিমানটিকে গুলি করে ভূপাতিত করেছে।বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, ২০১৪ সালে পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্ক শহরের বিমানবন্দরের কাছে ইউক্রেনের সৈন্যবাহিনী একটি বিমান ভূপাতিত করার প্রতিশোধ হিসেবে এই বিমানটিকে গুলি করে নামানো হয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা