আজ সোমবার (৫ ডিসেম্বর) উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী।
বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে সোহরাওয়ার্দীর জন্ম হয় ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ সন্তান তিনি।
পাকিস্তানের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দেশের শান্তিপ্রিয় গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদী ভূমিকা রাখেন।
লেন যুক্তফ্রন্ট গঠনের মূল নেতাদের অন্যতম হলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন বলে তাকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যা দেয়া হয়।
১৯৬৩ সালের এই দিনে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে একটি হোটেলে নিঃসঙ্গ অবস্থায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মারা যান। ঢাকার হাইকোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে প্রখ্যাত এই নেতাকে সমাধিস্থ করা হয়।
সোহরাওয়ার্দীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আলাদা বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে এই নেতার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সোমবার সকাল ৮টায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন তার কবরে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।