আজ ১০ ডিসেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস। ১৯৮৭ সালের তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে একটি মিছিলে যোগ দিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন পুরান ঢাকার বাসিন্দা নূর হোসেন।
সেদিন খালিগায়ে বুকে-পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ ও ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’- এই শ্লোগান ধারণ করে রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় তৎকালিন স্বৈরাচার বিরোধী মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন নূর হোসেন।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নূর হোসেনের মহান আত্মত্যাগ তাৎপর্যপূর্ণ ও প্রেরণাদায়ী একটি স্মরণীয় ঘটনা। সেদিন শহিদ নূর হোসেনের তাজা রক্তে রঞ্জিত রাজপথের আন্দোলন নতুন মোড় নেয় এবং তার রক্তদানের মধ্যদিয়ে তৎকালীন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন আরও বেগবান হয়।
নূর হোসেন শহীদ হওয়ার পর মাস না পেরোতেই ৬ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন এরশাদ। এর তিন মাস পর তিনি জাতীয় সংসদের আরেকটি নির্বাচনের আয়োজন করেন। ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে বড় দলগুলো না নেওয়ায় ওই সংসদ রাজনৈতিক বৈধতা পায়নি।
এরশাদ এরপরও ক্ষমতায় টিকে ছিলেন পৌনে তিন বছর। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তাঁর পদত্যাগের মধ্য দিয়ে ঘটনাবহুল একটি দশক শেষ হয়। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশ নেয়। বিএনপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে। যে জায়গাটিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন নূর হোসেন, সেই জিরো পয়েন্ট এখন শহীদ নূর হোসেন চত্বর।
দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।