উত্তর কোরিয়ায় চলতি বছরে ৮ লক্ষ ৬০ হাজার টন খাদ্যের অভাব রয়েছে। বুধবার(৭ জুলাই) জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা জানিয়েছেন, আগামী আগস্ট মাস থেকেই উত্তর কোরিয়ায় প্রবল খাদ্যাভাব দেখা দিতে চলেছে। গত বছর থেকেই একদিকে মহামারী করোনা, অন্য দিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার দাপটে কিম জং উনের দেশের অর্থনীতি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এবছরে সেই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী গোটা দেশের মানুষের জন্য ১১ লক্ষ টন খাদ্য প্রয়োজন। কিন্তু বাণিজ্যিক আমদানিতে ২ লক্ষ হাজার টনের বন্দোবস্ত করা সম্ভব হয়েছে। সুতরাং ৮ লক্ষ ৬০ হাজার টন খাদ্যের অভাব প্রকট হয়ে উঠেছে। এই ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব না হলে খুব তাড়াতাড়ি সংকটের মুখে পড়তে পরবে উত্তর কোরিয়ার সাধারণ মানুষ।
আলোচ্য, গত জুনেই কিম উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন দেশের খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে। জানিয়েছিলেন, দেশের অর্থনীতির খানিকটা উন্নতি হলেও খাদ্য পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন।
গত মাসেই দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের এক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক দাবি করেছিল, চলতি বছরে ১০ লক্ষ টন খাবারের অভাব দেখা দিতে পারে। অবশেষে সেই আশঙ্কা সত্যি হয়েছে।