আগামীকাল রোববার ৮০তম জন্মদিন উদযাপন করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে হোয়াইট হাউসে কোনো প্রেসিডেন্ট ৮০টি মোমবাতি জ্বালিয়ে জন্মদিন পালন করেননি। বাইডেন যে মাইলফলকে পৌঁছেছেন তার প্রভাব অনস্বীকার্য। তিনি ২০২৪ সালে আবার হোয়াইট হাউসে ফেরার কথা ভাবছেন।
হোয়াইট হাউস এখনো পর্যন্ত বাইডেনের জন্মদিন উদযাপনের পরিকল্পনা প্রকাশ করেনি। পরিবর্তে শনিবার বাইডেনের নাতনির বিয়ের প্রস্তুতির দিকে মনোনিবেশ করছে।বাইডেন নিজেই বিশাল ৮০ নিয়ে রসিকতা করেছেন।
এমএসএনবিসি’কে তিনি বলেন, ‘আমার যে কত বয়স হতে যাচ্ছে তাও বলতে পারছি না।’ ‘আমি এটা আমার মুখ থেকে বের করতেও পারছি না।’ তিনি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী, তাহলে তাকে ৮৬ বছর বয়স পর্যন্ত ক্ষমতায় রেখে পুনরায় নির্বাচন করা উচিত কি-না সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এতে তিনি দু’টি শব্দের মাধ্যমে উত্তর দিয়েছেন, ‘আমাকে দেখুন।’
এক বছর আগে মেডিক্যাল চেকআপের পর ডাক্তাররা বলেছিলেন যে, বাইডেনের মাত্র কয়েকটি ছোটখাটো অসুস্থতা ছিল এবং তিনি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে তিনি ‘দায়িত্ব পালনের জন্য উপযুক্ত’।
হালকা-পাতলা স্বাস্থের প্রেসিডেন্ট ধূমপান বা মদ্যপান করেন না। শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকেন এবং ১৯৮৮ সালে প্রাণঘাতী মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজমের জন্য দু’টি অস্ত্রোপচারের পর থেকে তার কোনো বড় স্বাস্থ্য উদ্বেগ ছিল না।
এমনকি ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় ২০২০ সালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তাকে ‘সুপার এজারদের’ মধ্যে শ্রেণীবদ্ধ করে, যারা আর্থ-সামাজিক, জীবনধারা এবং জেনেটিক কারণে গড়ের চেয়ে বেশি দিন বাঁচেন।
গবেষকরা তাকে প্রায় ৯৭ বছরের একটি তাত্ত্বিক অনুমিত আয়ু দিয়েছেন। তিনি প্রায় প্রতি সপ্তাহান্তে ডেলাওয়্যারে তার পারিবারিক বাড়িতে অবসর নেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মতো সহকর্মী বিশ্ব নেতাদের সাথে কিছু গ্রুপ ফটোতে বয়স্ক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে একজন পিতৃ-পুরুষের মতো দেখায়।