অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মৌলিক ন্যূনতম শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে ও নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ের লেখাপড়া অবৈতনিক করতে একযোগে কাজ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গতকাল রবিবার শিক্ষানীতি ২০১০-এ বর্ণিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই দুই মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সম্মত হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, যেসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো রয়েছে, সেসব বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। ৩০ এপ্রিল প্রাথমিকের সব আঞ্চলিক উপ-পরিচালক ও জেলা শিক্ষা অফিসারদের কাছ থেকে বিদ্যালয়ের তালিকা চাওয়া হয়েছে। যেসব বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা যাবে, সেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সংখ্যাও জানতে চেয়েছে অধিদপ্তর।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া অবৈতনিক করেছে আগেই। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিচ্ছে সরকার। আর ৬৯৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি চালু আছে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অর্থ খরচ করে ষষ্ট, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করান অভিভাবকরা।
বৈঠকে জানানো হয়, বর্তমানে প্রাথমিক থেকে নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা আর্থ-সামাজিক ও প্রক্রিয়াগত কারণে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার বেড়েছে। এই ঝরে পড়া রোধ করতে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক বা নামমাত্র ব্যয়ে করার ব্যবস্থা করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সম্মত হয়েছে দুই মন্ত্রণালয়।
এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের অবৈতনিক শিক্ষা তথা পাঠদান কার্যক্রম ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত করবে। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ব্যয় কমিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে কাজ করবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, শিক্ষাবিদ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল প্রমুখ।