ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, অনুমতি ছাড়া ডিএমপির ক্রাইম বিভাগে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিনের এভাবে বক্তব্য দেওয়া ঠিক হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে ডিএমপি কমিশনার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
এর আগে এডিসি হারুন অর রশিদের (সাময়িক বরখাস্ত) ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনার বিষয়ে এডিসি সানজিদা আফরিন গণমাধ্যমকে বলেন, গত শনিবার তার স্বামী রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুনই আগে এডিসি হারুনের গায়ে হাত তোলেন। এছাড়া তাকেও বিনা কারণে মারধর করেন তার স্বামী।
এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, একেবারে প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে আমাদের এডিসি হারুন অর রশিদ (সাময়িক বরখাস্ত) ও পরিদর্শক মো. গোলাম মোস্তফা বাড়াবাড়ি করেছে। আইনের ব্যত্যয় ঘটায় এরইমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। তারপর আমি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমাদের অফিসারদের কার কতটুকু দোষ সেই অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ পুলিশ সদরদপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুপারিশ পাঠাব।
গত শনিবারের ঘটনা নিয়ে এডিসি হারুনের বক্তব্যের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। হারুনের তথ্যের বিষয়ে হারুনই জানে।
এডিসি সানজিদার বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, সানজিদার সঙ্গে আমি কথা বলিনি। সানজিদার বক্তব্য দেওয়াটা ঠিক করেনি। কারণ অনুমতি ছাড়া তিনি এভাবে বক্তব্য দিতে পারেন না।