দিল্লিতে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব এতটাই ভয়াবহ যে রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য সঠিক সময়ে অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় বেসরকারি একটি অলাভজনক সংস্থার সহায়তায় ব্যতিক্রমি উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। তিন চাকার অটোরিকশাগুলোকে অ্যাম্বুলেন্সে রুপান্তর করা হয়েছে। আর এ সেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। ফলে রোগীদের সহজেই হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
করোনার কারণে দিল্লিতে এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এতটাই ভেঙে পড়েছে যে সত্যিকারের অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া দুষ্কর হয়ে গেছে। অধিক চাহিদার কারণে সময়মতো পরিবহনটি পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বিকল্প কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে রিকশা, মোটরসাইকেল কিংবা অন্য যানবাহনে করে রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে আসছেন স্বজনরা। এতে করে অক্সিজেনের অভাবে অনেক রোগী মারা যাচ্ছে। আবার অনেক সময় দেখা যায়, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই রোগী মারা যাচ্ছে।
এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এলো বেসরকারি অলাভজনক সংস্থা টার্ন ইউর কনসার্ন ইনটু অ্যাকশন ফাউন্ডেশন। তারা এক ডজনেরও বেশি অটোরিকশাকে অ্যাম্বুলেন্সে রুপান্তর করেছে। প্রতিটি অটোরিকশার মাঝে রয়েছে অক্সিজেনের সিলিন্ডার, চালককে দেওয়া হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও পিপিই সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি। এই উদ্যোগটির তত্বাবধান করছে দিল্লি সরকার। গত মঙ্গলবার (৪ মে) থেকে সেবাটি চালু করা হয়েছে।
অটোরিকশাচালক জয় প্রকাশ নারায়ণ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের সবাইকে অবশ্যই একে অপরকে সহায়তা করতে হবে। আতঙ্কের কারণে সবাই যদি ঘরে বসে থাকে, তাহলে এই রোগীদের সহায়তা করতে এগিয়ে আসবে কে?
টার্ন ইউর কনসার্ন ইনটু অ্যাকশন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক মোহিত রাজ বলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী এমন আরো যানবাহনের প্রয়োজন। কারণ, এখন কেবল করোনা রোগীদের কাছ থেকেই যে আমরা কল পাচ্ছি তা নয়, বরং সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধারাও রোগীদের জন্য যানবাহন না পেয়ে আমাদের কল দিচ্ছে।
এমনকি দেশের অন্যান্য জায়গা থেকেও এই সার্ভিস চালু করার জন্য অনুরোধ আসছে, যোগ করেন তিনি।