৯৭ শতাংশ বেতন পরিশোধের দাবি বিজিএমইর, একমত নন শ্রমিকরা

0
25
বিজিএমই
বিজিএমই

মঙ্গলবার পর্যন্ত পোশাক কারখানা শ্রমিকদের ৯৭ শতাংশ বেতন ও ৯৯ শতাংশ বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এ খাতের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। আর আজ বুধবারের মধ্যে শতভাগ কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধ হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি জানান, ৬৮টি কারখানায় নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পাওনা পরিশোধ নিশ্চিত করা হয়েছে। অবশ্য বর্তমানে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-এর দুটি সংগঠনের সদস্য বহির্ভূত মিলিয়ে রপ্তানিমুখী সচল পোশাক কারখানা প্রায় চার হাজার। আর আজ বিজিএমইএ যে তথ্য দিয়েছে সেটি কেবল সংগঠনটির সদস্যভুক্ত ১ হাজার ৯১৩টি কারখানার।

অবশ্য বেতন বোনাস পরিশোধ সংক্রান্ত বিজিএমইএর তথ্যের সঙ্গে একমত নন পোশাক শ্রমিকরা। সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার ইত্তেফাককে বলেন, বিজিএমইএর এ বক্তব্য সঠিক নয়। চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার অনেক কারখানা পাওনা পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ করেছে।

এদিকে ঈদের আগে শ্রমিকদের ছুটি ইস্যুতে সৃষ্ট অসন্তোষকে দুঃখজনক আখ্যায়িত করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, করোনা সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য সরকারের নির্দেশনা মেনে আমরা তিনদিনের ছুটি দিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু কারখানায় অসন্তোষ হয়েছে। এ সময় শ্রম আইনে ছুটি সংক্রান্ত বিধান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছুটি কম দেওয়া হয়নি, বরং সমন্বয় করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমে বেশি ছুটি দেওয়া হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে ছুটি সংক্রান্ত বিরোধ এড়িয়ে চলতে তিনি অনুরোধ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে পোশাক খাতের বিদ্যমান সংকট তুলে ধরে বলেন, কারখানাগুলো বর্তমানে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে রয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করেছে। এখন ব্যয়ের চেয়েও কম মূল্যে ক্রয়াদেশ নিতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে নীতি সহায়তা চান বিজিএমইএ সভাপতি।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এস এম মান্নান কচি, সহসভাপতি শহীদুল্লাহ, আজিম, পরিচালক ভিদিয়া অমৃত খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।