বিপৎসীমার উপরে ৮ নদীর পানি, ১২ জেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতির

0
40
বিপৎসীমার উপরে ৮ নদীর পানি, ১২ জেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতির
বিপৎসীমার উপরে ৮ নদীর পানি, ১২ জেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতির

কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাটে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা এবং সিরাজগঞ্জে যমুনা ৮ নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারনে ১২ জেলার বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে। এ ছাড়া, আরও কিছু নদ-নদীর পানির সমতল বাড়ছে।

শনিবার (২৮ আগস্ট) পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বৃষ্টিপাত ও নদনদীর অবস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

প্রতিবেদনে নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে গঙ্গা নদীর পানি কমছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। 

অন্যদিকে পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, পদ্মার পানি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাড়তে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অপার মেঘনা অববাহিকার কুশিয়ারা ছাড়া প্রধান নদীগুলোর পানি কমছে। পানি কমার এ ধারা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। 

আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা; উত্তর-মধ্যাঞ্চলের জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা; মধ্যাঞ্চলের মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, শরিয়তপুর ও চাঁদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

এতে আরও বলা হয়, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পুরাবাড়ি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

আটটি নদীর পানি ১২টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, পদ্মা নদীর পানি সুরেশ্বর ও গোয়ালন্দ পয়েন্টে, মেঘনা নদীর পানি চাঁদপুরে বিপৎসীমার উপর দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে।

যমুনা নদীর পানি ৬টি পয়েন্টে বিপৎসীমা পার হয়েছে- আরিচা, মথুরা, সিরাজগঞ্জ, কাজীপুর, সারিয়াকান্দি, বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে।

এছাড়া ব্রহ্মপুত্রের পানি চিতলমারী, ধরলার পানি কুড়িগ্রাম ও দুধকুমার নদীর পানি পাটেশ্বরী স্টেশনে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।