সিত্রাংয়ে দেশজুড়ে পাঁচ নারী ও দুই শিশুসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে গাছের চাপায় আর দুইজনের মৃত্যু হয়েছে নৌকাডুবিতে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ঝড়ের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র পাওয়া যায়নি।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ও মূল কেন্দ্র রাত ৯টায় উপকূলে আঘাত হানে। তবে দুপুর থেকেই দমকা হাওয়া বইছিল দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে। তখন নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রথম প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। উপজেলা পরিষদ চত্বরে গাছের ডাল পড়ে মারা যান মর্জিনা বেগম (৪০) নামে এক নারী।
ভোলায় সোমবার রাত নয়টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের দমকা হাওয়ায় গাছের চাপায় প্রাণ যায় বিবি খাদিজা (৬৮) নামে এক নারীর। এ ছাড়া জেলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানা এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের সময় মোটরসাইকেলে করে দুজন যাওয়ার সময় গাছের ডাল পড়ে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান।
এদিকে বরগুনার সদর উপজেলার সোনাখালী এলাকায় একটি ঘরের চালে গাছ পড়লে ওই ঘরে থাকা আমেনা খাতুন নামের এক নারী মারা যান।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং চলাকালে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের হেসাখাল পশ্চিমপাড়ায় ঘরের ওপর গাছ উপড়ে পড়ে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল ঢেউয়ে সিরাজগঞ্জে নৌকাডুবিতে মা ও ছেলে মারা যান। সোমবার রাত নয়টার দিকে জেলা সদরের সয়দা ইউনিয়নের মোহনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।