সারাবিশ্বে করোনা মহামারিতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় ১৩০০ মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে সাড়ে ৬ লাখের নিচে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ব্রাজিল। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে জাপান, ইতালি, মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়া ও ইরান। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৮ কোটি ৮৭ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৪ লাখ ৩৫ হাজার।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২৭৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে সাড়ে ছয়শোর বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৪ লাখ ৩৫ হাজার ৫১৬ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৩৮ হাজার ৬১২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে দেড় লাখের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ কোটি ৮৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৩১ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৮০৯ জন এবং মারা গেছেন ১৮৯ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩৮ লাখ ৩৫ হাজার ৯৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩৩ হাজার ৩৪৮ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এই দেশটি করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২১০ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৭০৩ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪০ লাখ ১১ হাজার ১৭৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮০ হাজার ১২ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৫২৯ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৩৮ লাখ ৯৭ হাজার ৬০৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৭২৬ জন মারা গেছেন।
ফ্রান্সে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৫১৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪০ লাখ ৫৩ হাজার ৪০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫২ হাজার ৫৩৭ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১০ হাজার ৬১০ জন এবং মারা গেছেন ৪৫ জন।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৯৭ জন এবং মারা গেছেন ১৫৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১২ লাখ ৮৬ হাজার ৭৭১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬২ জন মারা গেছেন। একইসময়ে মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৯৮৬ জন এবং মারা গেছেন ৯৩ জন।
তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫১ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ হাজার ৯৬৫ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪৭ লাখ ১৬ হাজার ৮১৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ১৮৭ জনের। একইসময়ে ইরানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৬০ জন এবং মারা গেছেন ৬১ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৬ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ হাজার ৯৭৪ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৬ লাখ ৯২ হাজার ৩৯৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৬৯৭ জনের। একইসময়ে নিউজিল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৮৮৫ জন এবং মারা গেছেন ২৪ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৪৭৯ জন এবং মারা গেছেন ৮৯ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৩৮১ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৯২৮ জন এবং মারা গেছেন ৩২ জন।