লোডশেডিং বন্ধের দাবি

0
59
লোডশেডিং বন্ধের দাবি
লোডশেডিং বন্ধের দাবি

লোডশেডিং বন্ধসহ সরকারের প্রতি চার দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। ক্ষুদ্র ও অ‌তিক্ষুদ্র ব্যবসায়ী‌দের বৃহত্তর স্বা‌র্থ বিবেচনায় লোডশেডিং বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। একই সঙ্গে মা‌র্কেট ও ‌বিপণিবিতান দুপুর ১২টা থে‌কে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুরোধ জানায় সংগঠনটি।

বৃহস্প‌তিবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর মগবাজা‌রে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দা‌বি ক‌রেন সংগঠ‌নটির সভাপ‌তি মো. হেলাল উ‌দ্দিন।

দাবিগুলো হলো- লোডশেডিং বন্ধ করা, মার্কেট, বিপণিবিতান ও দোকানপাট দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখা, অফিস সময় সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত করা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সময়সূচি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত করা।

তিনি ব‌লেন, করোনায় ব্যবসায়ীরা বিপর্যস্ত। এরমধ্যে বর্তমানে রাত ৮টার মধ্যে দোকানপাট বন্ধ করা এবং দৈনিক ১ থেকে ২ ঘণ্টা লোডশেডিং, দেশের ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘা হ‌য়ে দাঁড়ি‌য়ে‌ছে। যা প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ব্যবসাবান্ধব বাংলাদেশ গড়ার পথে বড় বাধা।

‘রাত ৮টার পর বেশিরভাগ বেচাকেনা হয়। কিন্তু এ সময় বন্ধ রাখার ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। কিন্তু দোকানমালিকদেরকে কর্মচারী খরচ, বিদ্যুৎবিল ও দোকান ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ বহন করতে হচ্ছে। এতে চরম অর্থসংকটে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।’

তিনি আরও জানান, ‘জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী কয়েক দিন আগে বলেছিলেন, “আমদানি করা জ্বালানির (ডিজেল ও এলএনজি) মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে। প্রকৃতপক্ষে বিদ্যুতের কোনো সংকট নেই, সংকট জ্বালানিতে। বাকি ৯০ শতাংশ ব্যবহার হয় পরিবহন ও কৃষি খাতে।” মাত্র এ ১০ শতাংশ সাশ্রয়ের জন্য সরকারকে সমালোচনা শুনতে হচ্ছে। লোডশেডিংয়ে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বরং এ‌তে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পথে বসার উপক্রম হয়েছে।’