মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তৃতীয় দফায় একদিনের রিমান্ড শেষে পরী মনিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুর ১১ টা ৫১ মিনিটে রিমান্ড শেষে পরী মনিকে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডি।
শনিবার (২১ আগস্ট) বনানী থানায় মাদক দ্রব্য আইনের দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরী মণিকে তৃতীয় দফায় একদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। এরপর তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা কারাগারে আটক রাখার আবেদনে বলেন, আসামি পরী মণি মামলার বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছেন। তার দেওয়া তথ্য-উপাত্ত তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
তার বিরুদ্ধে মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করছি। তাকে জামিন দিলে মুক্তি পেলে তিনি বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারেন ও পালাতে পারেন।
অন্যদিকে অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান ও নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীসহ আসামিপক্ষের অন্য আইনজীবীরা আদালতে পরীমণির সঙ্গে কথা বলার জন্য আবেদন করেন। আদালত সেই আবেদন নামঞ্জুর করে পরীমণিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে আজ সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে পরী মণিকে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে আদালতের হাজতখানায় তাকে রাখা হয়। পরে বিকাল পৌনে ৩ টায় তাকে এজলাসে হাজির করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলামের আদালত পরী মণির একদিন, ১০ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত দুই দিন এবং গত ৫ আগস্ট একই মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ পরীমণির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তিন দফায় মোট পরীমণিকে সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগীকে আটক করে র্যাব। তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয় বলে জানানো হয়। আটকের পর তাদের নেওয়া হয় র্যাব সদর দফতরে। পরে র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক আইনে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা করে।