রাশিয়া নিজ দেশে ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউব নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। গতকাল শুক্রবার (৪ মার্চ) রাশিয়ার যোগাযোগ তদারকি সংস্থা রোসকোমনাডজোর দেশটিতে এই পরিষেবাগুলো নিষিদ্ধ করে দেয়।
এ খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’। একই সংবাদ প্রকাশ করেছে রয়র্টার্স, আল-জাজিরা, স্কাই নিউজসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
রাশিয়ার যোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, মার্চেই রাশিয়ান ফেডারেশনে ফেসবুক নেটওয়ার্কের (মেটা প্ল্যাটফর্মের মালিকানাধীন) ব্যবহার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে মেটা প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রাশিয়ান ব্যবহারকারীদের নির্ভরযোগ্য তথ্য উৎস থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে।’ হোয়াইট হাউসও এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, ‘এটি গভীরভাবে উদ্বেগজনক।
ফেসবুকের মূল সংস্থা মেটা জানিয়েছে, তবে দেশটিতে ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ এখনও কাজ করছে।
এদিকে এক প্রতিবেদনে তাস নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার রাশিয়ার যোগাযোগ তদারকি সংস্থা রোসকোমনাডজোর টুইটার ব্যবহার সীমিত করেছে।
অন্যদিকে ইন্টারফ্যাক্স এবং আরআইএ নভোস্তি সংবাদ সংস্থার মতে, ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অভিশংসক প্রধানের অনুরোধে রাশিয়ায় টুইটার ব্যবহার সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।
ফেসবুক বলেছে রাশিয়ার এমন পদক্ষেপ লক্ষ লক্ষ মানুষকে নির্ভরযোগ্য তথ্য এবং তাদের মতামত শেয়ার করার একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে দূরে সরিয়ে দেবে।
ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ বলেছেন, ‘শিগগির লক্ষ লক্ষ সাধারণ রাশিয়ান নিজেদেরকে নির্ভরযোগ্য তথ্য থেকে বিচ্ছিন্ন দেখতে পাবে… এবং কথা বলা থেকে নীরব হয়ে যাবে। রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।’