
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সবচেয়ে বেশি গোলের (১০৯) বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফ্রান্সের সঙ্গে ড্র সত্ত্বেও শেষ ষোলোয় উঠেছে পর্তুগাল।
এই ম্যাচ ড্রতে ফরাসিরা তিন ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। পর্তুগাল চার পয়েন্ট পেয়েছে।
কোপেনহেগেনের পারকেন স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ‘এফ’ গ্রুপের শেষ রাউন্ডের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। রোনালদোর জোড়া গোলের জবাবে সমান গোল করেছেন ফ্রান্সের করিম বেনজেমাও।
নকআউট পর্বে যেতে হলে কোনোভাবেই হারা চলবে না, এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পর্তুগাল ৩০তম মিনিটেই এগিয়ে যায়। মৌতিনহোর ফ্রি-কিক ফ্রান্সের পেনাল্টি অঞ্চলে ঢুকলে হেড নিতে যান দানিলো। বলে মাথাও ছুঁয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বল ঠেকাতে গিয়ে পেছন থেকে পর্তুগিজ মিডফিল্ডারের মুখে ঘুষি মেরে বসেন ফরাসি গোলরক্ষক হুগোব লরিস। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে কার্পণ্য করেননি। সঙ্গে গোলকিপারকে হলুদ কার্ডও দেখিয়েছেন। আর তা থেকে লক্ষ্যভেদ করেন রোনালদো।
ম্যাচের শুরুতে দলকে এগিয়ে নেওয়া ওই গোলে নতুন এক ইতিহাস গড়েন রোনালদো। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে ২০ গোলের মালিক হন তিনি। পরে তাতে যোগ হয় আরও একটি। এছাড়া শুধু ইউরোর ইতিহাসেও সর্বোচ্চ গোলের (১৪টি) মালিক তিনি।
বিরতির পর এগিয়ে যেতে সময় লাগেনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের। ৪৭ মিনিটে সতীর্থের থ্রু ধরে বেনজেমা বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলকিপারের পাশ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন। বল পোস্টে লেগে জাল কাঁপায়। ৪৯ মিনিটে রোনালদোর হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট।
৫৯ মিনিটে পর্তুগাল ম্যাচে আবারও সমতা ফিরিয়ে আনে। রোনালদোর শট ডিফেন্ডার কন্দের হাতে লাগে। পেনাল্টির বাঁশি বেজে উঠে। পেনাল্টি থেকে রোনালদো গোলকিপারের বিপরীত দিক দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে রোনালদোর গোল হলো ১০৯টি। এই তারকা ছুঁয়েছেন ইরানের আলী দাইকে। এখন যৌথভাবে এই দুজন সর্বোচ্চ গোলদাতা।
২-২ এ স্কোরলাইন থাকার পর ফ্রান্স এগিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু ৬৭ মিনিটে পল পগবার শট হাত দিয়ে রুখে দেওয়ার পর বল পোস্টে লেগে আসলে গোল পাওয়া হয়নি দিদিয়ের দেশমের দলের।