বিশ্বজুড়ে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে সোয়া ২ লাখের নিচে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে রাশিয়া। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ইতালি, তাইওয়ান, জাপান, ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্র। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৫২ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ লাখ ৯৩ হাজার।
রোববার (৩০ অক্টোবর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৩৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ছয় শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ৯৩ হাজার ১৯৩ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৪১৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৮৫ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৫২ লাখ ৫৩ হাজার ২৪১ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৫২৩ জন এবং মারা গেছেন ৫৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২২ লাখ ৩২ হাজার ৬৪০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৬ হাজার ৫৯৪ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৭ হাজার ১০৭ জন এবং মারা গেছেন ৭৯ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৪ লাখ ১৬ হাজার ৯২২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯০ হাজার ২৯ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৮৩৭ জন এবং মারা গেছেন ৩৩ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৯৩ লাখ ৪১ হাজার ৪৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৯৫ হাজার ১৯৯ জন মারা গেছেন। একইসময়ে তাইওয়ানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৫২০ জন এবং মারা গেছেন ৭৬ জন।
ফ্রান্সে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৭২৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৯৩ হাজার ১৬১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮৩২ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৯১ জন এবং মারা গেছেন ৩৬ জন।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২৬ হাজার ৭৯৯ জন এবং মারা গেছেন ৭৬ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৩৫ লাখ ৩১ হাজার ২৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ১০১ জনের। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ২৯৬ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১১ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৯০১ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৬৫ হাজার ২১৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৮ হাজার ১৪৩ জনের।