দেশে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। দেশের ৮টি প্রধান নদনদীর ২১টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। এতে অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। যমুনাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে জেলা সদর, বাসাইল, কালিহাতি, ভূয়াপুর, গোপালপুর, নাগরপুর ও মির্জাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে রাস্তাঘাটসহ বিস্তীর্ণ এলাকার সবজি ক্ষেত।
শনিবার (০৪ আগস্ট) বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হবে এবং তারপর থেকে উন্নতি হতে শুরু করবে। এছাড়াও মধ্যাঞ্চলে আরো ৪৮ ঘণ্টা বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা আছে; তারপর থেকে উন্নত হবে।
জামালপুরে সড়কে ঢুকছে বন্যার পানি। ঝুঁকি নিয়ে চলছে ছোটবড় যানবাহন। এরই মধ্যে জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার ৩৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ। তলিয়ে আছে প্রায় ৮ হাজার হেক্টর ফসলি জমি।
ফরিদপুরে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে সদরের ৩ ইউনিয়নের অর্ধ শতাধিক গ্রাম।
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ৪ দিন ধরে পানির নিচে তলিয়ে আছে জেলার ২৫ হাজার ১৫০ হেক্টর রোপা আমন, বীজতলা ও সবজি ক্ষেত।
রংপুরে বন্যা ও ভাঙনে বিপর্যস্ত তিস্তাপাড়ের গ্রামগুলোর বাসিন্দারা।