‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেনছা মুজিব’ পদক প্রদান

0
32
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক-২০২১ প্রদান
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক-২০২১ প্রদান

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য জাতির পিতার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেনছা মুজিব’ পদক প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া, সমাজসেবা, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, গবেষণা, কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য এ বছর পাঁচ জন বাংলাদেশি নারীর হাতে প্রথমবারের মতো এই পদক তুলে দেওয়া হয়।

আজ রোববার (৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ পদক তুলে দেন। পদকপ্রাপ্তরা হলেন— বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মমতাজ বেগম (মরণোত্তর), জয়াপতি (মরণোত্তর), মোসাম্মাৎ নুরুন্নাহার বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ জোবেদা খাতুন পারুল এবং নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ)।

এই প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব’ পদকটি নারীদের জন্য ‘ক; শ্রেণিভুক্ত সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক হিসেবে গণ্য হবে। পুরস্কার হিসেবে ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের ৪০ গ্রাম ওজনের একটি পদক, চার লাখ টাকার চেক, সার্টিফিকেট এবং উত্তরীয় প্রদান করা হয়।

নারীদের আর্থিক সাহায্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে দেশের সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত সুবিধাভোগীদের তালিকা অনুযায়ী ৬৪ জেলার চার হাজার অসচ্ছল নারীকে সেলাই মেশিন ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দুই হাজার নারীকে দুই হাজার টাকা করে মোট ৪০ লাখ নগদ টাকা ও সেলাই মেশিন বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

বঙ্গমাতার জীবন ও কর্মের ওপর অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও চিত্রও পরিবেশন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসন। জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন। এ ছাড়া, পদক বিজয়ীদের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ জোবেদা খাতুন পারুল নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা রাখেন।