ভুজঙ্গাসন
এই যোগাসনটি ‘কোবরা পোজ’ নামে জনপ্রিয়। এই আসনটি প্রাথমিকভাবে পেটের পেশী শক্তিশালী করে এবং পিঠ ও কোমর রিল্যাক্স করতে সহায়তা করে।
কীভাবে করবেন
প্রথমে উপুড় হয়ে দুটি পা জোড়া করে সোজা রেখে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটো শরীরের দুই পাশে রাখুন এবং হাতের তালু মাটিতে লেগে থাকবে। হাতের ওপর ভর করে মাথা ওপরে তুলুন। বুক মাটি থেকে ওপরে উঠবে। কোমর থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত মাটিতে থাকবে। পা জোড়া অবস্থায় সোজা থাকবে। দম স্বাভাবিক থাকবে।
ধনুরাসন
এই আসনটিকে ‘ধনুক পোজ’ বলা হয়। এই আসনটি অ্যাবস শক্তিশালী করতে সহায়তা করে এবং পেটের চর্বি কমায়।
কীভাবে করবেন
প্রথমে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। তারপর পা দু’টি হাঁটুর কাছ থেকে ভাঁজ করে গোড়ালি দু’টি নিতম্বের কাছে আনুন। এবার দুই হাত দিয়ে পায়ের গোছা ধরে বুক ও ঊরু মাটি থেকে ওপরের দিকে টেনে তুলুন। তবে তলপেট মাটিতে লেগে থাকবে। দৃষ্টি সামনে থাকবে এবং ঘাড় হালকা পিছন দিকে হেলে থাকবে।
কুম্ভকাসন
এই আসনটি ‘প্লাঙ্ক পোজ’ নামে পরিচিত। এই আসনটি পেটের চর্বি ঝরাতে এবং পেশী টোন করতে খুবই কার্যকর.
কীভাবে করবেন
প্রথমে উপুর হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ুন। এবার দুই হাতের তালু ও পায়ের পাতার উপর ভর করে পুরো শরীর উপরে তুলুন। শরীরের পুরো ভর থাকবে দুই হাতের তালু ও পায়ের অগ্রভাগের উপর। শরীর থাকবে একদম সোজা।
নৌকাসন
এই আসনটি ‘বোট পোজ’ নামে পরিচিত। পেটের চর্বি কমাতে এই আসন খুবই কার্যকর।
কীভাবে করবেন
চিত হয়ে শুয়ে দুই পা জোড়া করে, দুই হাত উরুর উপরে রাখুন। তারপর দুই হাত, পা ও মাথা একই সঙ্গে ৪৫ ডিগ্রি উপরে তুলুন। তবে খেয়াল রাখবেন মাথা ও পায়ের আঙুল যেন একই সমান্তরালে থাকে।
উস্ট্রাসন
এটি ‘ক্যামেল পোজ’ নামে পরিচিত। এই আসনটি একটু কঠিন। পিঠের কোনও সমস্যা না থাকলে তবেই এই আসনটি করুন। এই আসনটি করলে রিবকেজ খোলে এবং অক্সিজেন সরবরাহের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে।
কীভাবে করবেন
এই আসনের ক্ষেত্রে, হাঁটু গেড়ে বসে, পিছনের দিকে বেন্ট হয়ে পায়ের গোড়ালি হাত দিয়ে ধরা হয় এবং এই আসনে বুক ও মুখ উপরের দিকে থাকে।