নায়ক শাকিবের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ

0
6

নায়ক শাকিবের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গ ও শ্লীলতাহানিসহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগকারী রহমত উল্ল্যাহ অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। তিনি ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবির অন্যতম প্রযোজক।

গতকাল বিকেলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক সংগঠনে লিখিত অভিযোগে শাকিব খানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়।

লিখিত অভিযোগে রহমত উল্ল্যাহ বলেন, ‘২০১৭ সালে পূর্বচুক্তি মোতাবেক অভিনেতা শাকিব খান ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ নামক সিনেমার কাজে অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। আমি সেই চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রযোজক। তার মতো একজন অভিনেতাকে নিজের চলচ্চিত্রে অভিনয় করাতে পারব জেনে পুলকিত ছিলাম। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেলে ব্যবসাসফল হবে সেই বিশ্বাস ছিল।’

এতে বলা হয়, ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ মুক্তি পেলে সেটি হতো অস্ট্রেলিয়ায় অভিনীত প্রথম বাংলাদেশী চলচ্চিত্র। আমার এবং এটার সাথে সংশ্লিষ্ট সবার আশা ছিল সিনেমাটির হাত ধরে অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্কে নতুন একটি অধ্যায় রচিত হবে।

শাকিব খান একজন বিখ্যাত অভিনেতা। তার অভিনীত চলচ্চিত্রের দর্শক চাহিদা অনেক। তাই আমাদের প্রত্যাশা ছিল তিনি আমাদের সাথে পেশাগত আচরণ করবেন। অথচ আজ পর্যন্ত এই সিনেমার কাজ তিনি শেষ করেননি।’

‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবির শুটিং চলাকালীন শাকিব খান দ্বারা যেসব ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তার একটি তালিকাও অভিযোগে তুলে ধরা হয়। তাতে বলা হয়, ‘প্রথমত. ‘আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নেয়া সত্ত্বেও কোনো রকমের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শাকিব শুটিং বাতিল করে দিতেন।’

দ্বিতীয়ত. ‘তার খাদ্যাভ্যাসজনিত চাহিদা ছিল এমন যে, হঠাৎ করে তিনি অদ্ভুত রকমের খাবার খেতে চাইতেন। আর তাতেই পুরো শুটিং ইউনিট নিয়োজিত হতো তার পছন্দের খাবার খুঁজে বের করার জন্য। এতে করে শুটিংয়ের কাজে যেমন ব্যাঘাত হতো, তেমনি চলচ্চিত্রের নির্মাণব্যয় নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়ে গিয়েছিল।’

তৃতীয়ত ‘তিনি শুটিং করতে আসতেন নিজের ইচ্ছা মতো সময়ে। অনেক সময় এমন হতো যে অত্যন্ত ব্যয়বহুল সেট বানিয়ে আমরা তার জন্য অপেক্ষা করতাম। তিনি হয়তো শেষ বেলায় দুই এক ঘণ্টা অভিনয় করার জন্য আসতেন। এভাবে শুটিং না করেও সবার বেতন দিয়ে আমরা শুধু অপেক্ষা করতাম তিনি আসবেন বলে।’

এ ছাড়াও শাকিবের বিরুদ্ধে আপত্তিকর কর্মকাণ্ড ও শ্লীলতাহানির মতো অভিযোগ তোলা হয়। যেখানে প্রযোজক তুলে ধরেন হোটেল কক্ষে শাকিব খানের আপত্তিকর জীবনাচরণ এবং শুটিং ইউনিটের সহকর্মীর শ্লীলতাহানির মতো বিব্রতকর ও বিস্ময়কর ঘটনা। যার সূত্র ধরে মামলাও হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। রহমত উল্ল্যাহর দাবি, পরে তিনি শাকিব খানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ‘২০১৮ সালে তিনি (শাকিব খান) আবার অস্ট্রেলিয়ায় আসলে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। সামাজিক চাপ এবং আরো নিগ্রহের ভয়ে নির্যাতিতা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি না হওয়ায় শাকিব সেই যাত্রায় ছাড়া পেয়ে যান।’ এ বিষয়ে কথা বলতে চেষ্টা করেও শাকিব খানকে পাওয়া যায়নি।

Advertisement

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.