এটা কোনো গল্প নয়, সত্য ঘটনা। ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত ড্রাইভিং প্রশিক্ষক ৭২ বছরের বৃদ্ধ ডেভ স্মিথ। গত বছরের মার্চে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০ মাসে ৭ বার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। আর প্রতিবারই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে নিজের শেষকৃত্য কীভাবে হবে, তার পরিকল্পনা করেছেন।
অবসরপ্রাপ্ত ড্রাইভিং প্রশিক্ষক স্মিথ বলেন, আমি আত্মসমর্পণ করেছিলাম। আমার পরিবার ও সবাইকে বিদায় জানিয়েছিলাম।
স্মিথের স্ত্রী লিন্ডা বলেন, খুব খারাপ সময় কেটেছে। অনেকবার মনে হয়েছে তিনি আর সেরে উঠবেন না।
ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রমণ রোগের বিশেষজ্ঞ এড মোরান জানিয়েছেন, ডেভের শরীরে করোনাভাইরাস অত্যন্ত ‘সক্রিয়’ ছিল। শেষমেশ ককটেল অ্যান্টিবডি চিকিৎসার মাধ্যমে ডেভকে সুস্থ করে তোলা হয়। ডেভের দেহে কী ভাবে ভাইরাস সক্রিয় ছিল, তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছেন ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা।
বিবিসি’র প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ডেভ স্মিথ বলেছেন, ‘আসলে ৪৩ বার ধরে ‘পজিটিভ’, ‘পজিটিভ’ শুনে-সুনে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। তাই যখন চিকিৎসক নেগেটিভ বললেন, তখন ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ।’
খাতা-কলমে স্মিথই সবচেয়ে বেশি দিন সংক্রমণে ভোগা রোগী বলে মনে করেন ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টলের ভাইরোলোজিস্ট অ্যান্ড্রু ডেভিডসন।
তিনি বলেন, স্মিথের ঘটনা নিয়ে তিনি গবেষণা করছেন। তার গবেষণার ফলাফল ইউরোপিয়ান কংগ্রেস অব ক্লিনিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে আগামী মাসে উপস্থাপন করবেন।