টিকা কেনায় খরচের তথ্য জানানো সমীচীন হবে না বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে করোনা টিকা কেনা হয়েছে।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের মন্ত্রীদের জন্য প্রশ্নোত্তর পর্বে লিখিত উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন এ মন্তব্য করেন। এ দিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এ পর্যন্ত (১৮ জানুয়ারি, ২০২২) ২১ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজার ভ্যাকসিন সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে কোভ্যাক্সের আওতায় ২ কোটি ৯৭ লাখ ২০ হাজার সিনোফার্ম, চীন থেকে ৭ কোটি ৭০ লাখ সিনোফার্ম ও ৭ কোটি ৫০ লাখ ১০ হাজার সিনোভ্যাকসহ মোট ১৫ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার এবং ভারত থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি করোনা ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চীন, ভারত ও কোভ্যাক্স থেকে সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত এবং অর্থ বিভাগ, সিসিজিপি ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে সর্বোচ্চ সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে। নন-ক্লজার অ্যাগ্রিমেন্টের মাধ্যমে ভ্যাকসিন কেনার কারণে সংসদে অর্থ খরচের হিসাব প্রকাশ করা সমীচীন হবে না।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এ পর্যন্ত (১৮ জানুয়ারি) আট কোটি ৩৮ লাখ ১৩ হাজার ৬৮৬ জন করোনা টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এ সময়ে ৯ কোটি ৩ লাখ ৯১ হাজার ৮৩৮ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮ জনকে দ্বিতীয় ডোজ এবং ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৯০০ জনকে বুস্টার ডোজসহ সর্বমোট ১৪ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৭৬ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক না থাকায় রেজিস্ট্রেশনেরে চয়ে টিকাদান বেশি হয়েছে।