জিডিপিতে ভারতকে পিছনে ফেলেছে বাংলাদেশ

0
41
জিডিপিতে ভারতকে পিছনে ফেলেছে বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের ২০২০ সালের হিসাব জনপ্রতি জিডিপির দিক দিয়ে বাংলাদেশ ভারতকে পেছনে ফেলেছে। করোনাপূর্ব সময়েই দুই দেশ এই অবস্থানে এসেছিল। অতঃপর কোভিড-১৯ ভারতীয় অর্থনীতিকে বাংলাদেশের অর্থনীতির চেয়ে বেশি বিপন্ন করেছে।

যেহেতু যেকোনো যাত্রারই চরিত্র নির্ধারিত হয় তার সূচনাবিন্দুর ওপর নির্ভর করে: ১৯৭২ সালে ভারত যে অবস্থায় ছিল, নতুন বাংলাদেশ (যাকে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হেনরি কিসিঞ্জার ‘বাসকেট কেস’ বলেছিলেন) যেখানে ছিল, তা মাথায় রাখলেই বোঝা যায়, কে কতটা এগিয়েছে বা পিছিয়েছে।’

এ ভাষাতেই সোমবার বাংলাদেশ নিয়ে প্রশংসা করা হয়েছে। ‘ঠাকুরঘরে’ শিরোনামে ওই সম্পাদকীয়তে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনা করা হয়েছে ভারতীয় বিভিন্ন পলিসির।

এতে বিভিন্ন খাতের তুলনামূলক পরিসংখ্যান উল্লেখ করে দুই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পার্থক্য তুলে ধরা ছাড়াও বাংলাদেশের সঙ্গে সমানতালে এগোতে ভারত সরকারের কী করা উচিত, তা নিয়েও নিজস্ব মত জানিয়েছে পত্রিকাটি।

উন্নয়নের জন্য পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে নিয়ে প্রশংসা করলেও এতদিন ভারতীয় গণমাধ্যম এ নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখায়নি। কিন্তু আনন্দবাজার পত্রিকার এ সম্পাদকীয়তে বাংলাদেশের উচ্ছসিত প্রশংসা করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘সেদিনের সদ্যজাত ক্ষুদ্র দেশ এখন মহাগৌরবে উপমহাদেশীয় অঞ্চলের মুখোজ্জ্বল করতে ব্যস্ত। বাংলাদেশের উন্নতি দেখে এই উপমহাদেশের অন্য দেশ, এমনকি তথাকথিত আঞ্চলিক মহাশক্তিরাও আজ ঈর্ষান্বিত।

ঢাকার বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার এখন ইসলামাবাদের তিনগুণ। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানকে সুইডেন বানাবেন বললে উপদেষ্টারা বলেন, আগে বাংলাদেশের সমকক্ষ হোন।’।

মোদি প্রশাসনের সমালোচনা করে সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, আইএমএফের হিসাব আন্তর্জাতিক নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় ও উদ্বিগ্ন বিজেপি আইটি সেল বুঝাতে শুরু করেছে, কেন বাংলাদেশ ও ভারতের এই তুলনা আসলে বাস্তবের যথার্থ প্রতিফলন নয়।