জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে

0
46
মূল্যস্ফীতি

গেল জানুয়ারি মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে, যা তার আগের মাস ডিসেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। এই সময়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ২৩ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার জানুয়ারি মাসে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৬৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ২১ শতাংশ।

গতকাল বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক শেষে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, এ মাসে চালের দাম নিয়ে লাফালাফি হলেও এর প্রভাব মূল্যস্ফীতিতে পড়েনি। আশা করি, আগামী মাসে মূল্যস্ফীতি আরো কমবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারি মাসে ডিম, শাকসবজি যেমন আলু, বেগুন, লাউ, করলা, পটোল, শশা টম্যাটো, লালশাক, পালংশাক, ফুলকপি, শিম, পেঁপে, মুলা ইত্যাদির দাম কমেছে। সেই সঙ্গে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ইত্যাদির দাম ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারি মাসে কমেছে। জানুয়ারি মাসে গ্রামীণ পর্যায়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।

এ সময় খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ১৫ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

শহরাঞ্চলের মূল্যস্ফীতির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসে শহরাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে, যা ডিসেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। আর খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৭২ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪১ শতাংশে, যা ডিসেম্বরে ছিল ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ।