গণটিকা কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

0
43
মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গণটিকা কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৬ জুলাই)  মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে এ তথ্য  জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। 
মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গণটিকা কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৬ জুলাই)  মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে এ তথ্য  জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। 

মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গণটিকা কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৬ জুলাই)  মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে এ তথ্য  জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। 

সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন ভ্যাকসিন কার্যক্রম জোরদার করতে। ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম যেন ওয়ার্ড থেকে শুরু হয়ে যায়।’  

‘দেশের ইউনিয়ন, উপজেলা এবং ওয়ার্ডে যে সমস্ত বয়স্ক লোক আছেন, তাদের ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তাদের মধ্যে ভ্যাকসিন নেয়ার একটা অনীহা আছে। হাসপাতালে দেখা গেছে গ্রামের বয়স্ক লোকেরা আছেন ৭৫ শতাংশ। ঢাকা শহরেও বিভিন্ন গ্রাম থেকে তারা এসেছেন। তাদের মৃত্যুর সংখ্যাও সবচেয়ে বেশি। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯০ শতাংশ।’

সম্মুখ সারির যোদ্ধাদের মধ্যে যারা এখনও টিকার আওতায় আসেননি, তাদেরও দ্রুত টিকা দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

 স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘তাদের পরিবারকে এবং সেই পরিবারে যদি কোনো ড্রাইভার থাকে, তাদেরকেও টিকা দিতে বলা হয়েছে। ১৮ বছরের ওপরে যারা আছেন, তারাও টিকা পেয়ে যাবেন। আমরা আশা করছি, এই কাজটা আমরা অতিদ্রুত শুরু করে দেব।’

তিনি বলেন, ‘টেস্টের বিষয়েও জোর দেয়া হয়েছে। গ্রামের বয়স্ক লোকেরা টেস্ট করতে চান না। কারণ, তারা মনে করেন টেস্ট করার পর যদি প্রমাণিত হয় তারা সংক্রমিত, তাহলে গ্রামের লোকেরা কিছুটা হলেও একঘরে করে। এ কারণে অনেক সময় তারা লুকিয়ে যান। তাদের তথ্য লুকানোর ফলে আরও বেশি সংক্রমিত হয়।’

এদিকে, আগস্ট থেকে গ্রামে গ্রামে গণটিকা কার্যক্রম চালু করা হবে বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত গ্রামাঞ্চলে টিকার ক্যাম্পেইন চলবে। এ সময়ের মধ্যে ৬০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।