বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানকে ঢাকায় ফেরানো আটকে দিয়েছে মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট। বিচারপতি মোহাম্মদ জাইনি মাজলান মঙ্গলবার এই বিষয়ে অন্তর্বর্তী আদেশ দিয়েছেন। খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রিটা রহমানের আইনজীবীর করা আবেদন আমলে নিয়ে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।
ফ্রি মালয়েশিয়ার টুডে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সাবেক রাষ্ট্রদূত ৬৫ বছরের খায়রুজ্জামানকে ফেরত পেতে চায় বাংলাদেশ। তবে এর কোনও কারণ জানানো হয়নি। কিন্তু তার স্ত্রী রিটা রহমান দাবি করেছেন বাংলাদেশ সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশে তাকে গ্রেফতার করতে চায়।
সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে ৯ ফেব্রুয়ারি দেশটির আম্পান এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
খায়রুজ্জামানকে বাংলাদেশে ফেরানো ঠেকালো মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট
এম খায়রুজ্জামান সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর। তার বিরুদ্ধে ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলা ছিল। তবে সেই মামলা থেকে খালাস পান তিনি।
তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে তাকে ওই পদ বাতিল করে দেশে ফিরতে বলা হয়। তবে তিনি দেশে না ফিরে সেখানে শরণার্থী হিসেবে ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যার পর তিনি পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্ত হন। এরপর তিনি মিশর ও ফিলিপাইনের বাংলাদেশ মিশনে নিযুক্ত ছিলেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে অবসরে পাঠিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তবে ২০০৩ সালে তিনি আদালতের জামিনে মুক্তি পান। ২০০৫ সালে তিনি মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। ২০০৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশ ৯ ফেব্রুয়ারি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করে।