কাঞ্চনজঙ্ঘা : উত্তরবঙ্গে পর্যটকদের ভিড়

0
35

বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের জেলা পঞ্চগড় থেকে বেশ পরিষ্কারভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতশৃংঘ দেখা যাচ্ছে। দুই দিন ধরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরুপ মায়াবী দৃশ্য। এই দৃশ্য দেখার জন্য অনেকেই এসব জেলায় ভিড় করছেন। ফেসবুকেও অনেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাওয়ার ছবি পোস্ট করছেন।

তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো থেকে প্রায় ১৬৩ কিলোমিটার দূরে তুষার আচ্ছ্বাদিত শ্বেতশুভ্র হিমালয় পর্বত কাঞ্চনজঙ্ঘা। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে নেপালের দূরত্ব মাত্র ৬১ কিলোমিটার, এভারেস্ট শৃঙ্গের দূরত্ব ৭৫ কিলোমিটার, ভুটানের দূরত্ব ৬৪ কিলোমিটার, চীনের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার, ভারতের দার্জিলিংয়ের দূরত্ব ৫৮ কিলোমিটার, শিলিগুড়ির দূরত্ব ৮ কিলোমিটার আর কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব মাত্র (আকাশ পথে) ১১ কিলোমিটার।

মেঘমুক্ত নীল আকাশের নিচে তাকালে মনে হবে চোখের সামনেই সাদা পাহাড়। ভোরের আকাশে বরফ আচ্ছাদিত নয়নাভিরাম পর্বতটি বেশ উপভোগ্য। কখনো তা রুপালি চকচকে রূপ ধারণ করে।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, আজ খুব ভোর থেকে তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে খুব পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। বিভিন্ন বয়সী পর্যটকরা বিমুগ্ধ চিত্তে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। কেউ এসেছেন পরিবার নিয়ে, কেউ বন্ধুবান্ধব নিয়ে।

এসেই সীমান্ত প্রবাহিত মহানন্দা নদীর তীরে অবস্থিত ডাকবাংলোয় দাঁড়িয়ে স্মার্টফোনে ধারণ করছেন কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য। সেলফি তুলছেন, ছবি ও ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

এর আগে রোববার (৩০ অক্টোবর) ভোর থেকে তেঁতুলিয়া ডাকবাংলোয় হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটে। কিন্তু সিত্রাং এর প্রভাবে গত ৪-৫ দিন ধরে দেখা মিলছে না কাঞ্চনজঙ্ঘার আর এতে হতাশায় ফিরতে হয়েছে আগত পর্যটকদের।

তবে সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার ও শনিবার কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে আসা অনেক পর্যটক স্থানীয় আবাসিক হোটেলগুলোতে জায়গা না পেয়ে তাবু টাঙিয়ে চা ও লিচু বাগানে রাতযাপন করছেন।