
আজ রবিবার শুরু হচ্ছে জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক ২৭তম সম্মেলন। এবারের সম্মেলনকে স্বাগতিক মহাদেশ আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, তাঁদের জন্য কপ-২৭ ধনী দেশগুলোকে চেপে ধরার মঞ্চ হতে পারে।
আফ্রিকার বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান (এনজিও) ভাইটাল ল্যান্ডস্কেপের পরিচালক সুসান চম্বা বলেন, এ মহাদেশের সরকারগুলোর উচিত আফ্রিকায় সবুজ বিনিয়োগের জন্য কপ-২৭ আয়োজনকে কাজে লাগানো।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব রেডিংয়ের পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ের অধ্যাপক চুকউমেরেইজি ওকেরেকে বলেছেন, যেসব উন্নত দেশের দূষণের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, তাদের কাছ থেকে আফ্রিকার দেশগুলো এবার বড় পদক্ষেপ দাবি করতে পারে।
গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কম করলেও আফ্রিকা মহাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বিশ্বের অন্যতম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল। উগান্ডার জলবায়ু প্রচারকর্মী ভেনেসা নাকাতে বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে আফ্রিকা বৈশ্বিক নিঃসরণের ৪ শতাংশেরও কমের জন্য দায়ী। কিন্তু আফ্রিকা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবগুলোর সবচেয়ে ভয়াবহ শিকার। ’
কার্বন ব্রিফ নিউজ সার্ভিস নামের একটি প্রতিষ্ঠান গত সপ্তাহে দাবি করেছে, এ বছর চরম আবহাওয়াজনিত কারণে সৃষ্ট দুর্যোগে আফ্রিকায় চার হাজারের মতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এক কোটি ৯০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
পূর্ব আফ্রিকায় চলতি তাপপ্রবাহ ৯০ লাখ মানুষের জীবিকার ওপর প্রভাব ফেলছে। নাইজেরিয়ায় সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ১৪ লাখ মানুষ ভয়াবহ বন্যায় আশ্রয় হারিয়েছে।
জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক আন্ত সরকার প্যানেল (আইপিসিসি) গত ফেব্রুয়ারিতে সতর্ক করে যে আফ্রিকার লাখ লাখ মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ভবিষ্যতে খরা, বাস্তুচ্যুতি ও নানা ধরনের রোগে ভোগার ঝুঁকিতে রয়েছে।