
কণ্ঠশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল আর নেই। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, উপস্থাপক হাসান আবিদুর রেজা মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শিল্পীর ছোট ভাই হাসান মহিবুর রেজা রুবেল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে হাসান আবিদুর রেজা জুয়েলের জানাজা হবে।
জুয়েলের বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তাঁর জন্ম ১৯৬৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। তিনি স্ত্রী ও এক কন্যাসন্তান রেখে গেছেন।
গত ২৩ জুলাই রাতে বাসায় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় সংগীতশিল্পী জুয়েলের। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেন। তার ফুসফুসে পানি জমে যায়। চিকিৎসকরা সেই পানি বেরও করেন। ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল। কিন্তু আজ অবস্থার অবনতি হয়ে তার মৃত্যু হয়।
২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও তা সংক্রমিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা চলছিল। ক্যানসার থেকে কিছুটা সেরে উঠছিলেন এই শিল্পী। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো থাকতে সীমিত পরিসরে গান, উপস্থাপনা করতেন তিনি। সুস্থ অবস্থায় তিনি বলেছিলেন, ‘বিশেষ শারীরিক-মানসিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে আমাকে। আমার এখন প্রেরণা দরকার। আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই।’
জুয়েলের প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে (১৯৯৪)’, ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯) এবং ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)।
একটি করে গান নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে আরও দুটি অ্যালবাম ‘তাতে কি বা আসে যায়’ (২০১৬) এবং ‘এই সবুজের ধানক্ষেত’ (২০১৬)। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় অ্যালবাম ‘এক বিকেলে’। এটি প্রকাশের পর তাঁর নাম হয়ে যায় ‘এক বিকেলের জুয়েল’।