এমটিএফই এর প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব

0
79
এমটিএফই
এমটিএফই এর প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব

ডেসটিনি-২০০০ এর মতো এমএলএম কোম্পানি এমটিএফই প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব বাংলাদেশের অনেকে। দেশের মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে টাকা তোলার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে কোম্পানিটি।

গত দুই-তিন দিন থেকে অনেকের এমটিএফই ওয়ালেটের ব্যালেন্স ঋণাত্মক বা মাইনাস দেখানো হচ্ছে। অর্থনীতির ভাষায় প্রতিষ্ঠান লোকসান করায় গ্রাহকদের কাছ থেকে তারাই বরং টাকা পাবে বলে দাবি করা হচ্ছে।

এমটিএফই মূলত এমএলএম কোম্পানির মতো তাদের কার্যক্রম চালিয়েছে। প্রথম হাত, দ্বিতীয় হাত, তৃতীয় হাত পর্যন্ত আয়ের টাকা ভাগাভাগি হতো।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, বাংলাদেশে এমটিএফই কোম্পানিটির প্রায় সাড়ে ৩ শতাধিক সিইও আছে। এমটিএফইতে নিজের প্রমোকোড ব্যবহার করে মানুষকে যুক্ত করতে পারলেই এমটিএফই তাকে সিইও হিসেবে প্রমোশন হয়।

পরে এমটিএফই কোম্পানি প্রত্যেক সিইওকে প্রতিমাসে ৩ লাখ টাকা বেতন ও ১ লাখ টাকা অফিস ভাড়া প্রদান করে। সিইওদের প্রধান কাজ ছিল বিপুল অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে কোম্পানিতে হাজার হাজার মানুষকে যুক্ত করা।

প্রত্যেকের আলাদা আলাদা টেলিগ্রাম ও হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। গ্রুপে সদস্যদের ট্রেডিংয়ের সিগন্যাল দেয়া হতো। সেই সিগন্যাল অনুযায়ী গ্রাহকরা এমটিএফইতে ট্রেড করতো।

বিজ্ঞাপনে এমটিএফই বলতো, কেউ যদি ২৬ থেকে ৬০ ডলার বিনিয়োগ করেন, সেক্ষেত্রে তিনি প্রতিদিন ০.৩৯ ডলার থেকে ০.৬০ মার্কিন ডলার লাভ করতে পারবেন।

একইভাবে ৬১ থেকে ২০০ ডলার বিনিয়োগে প্রতিদিন ০.৯৮ ডলার থেকে ২.০৫ ডলারের লাভ, ২০১ থেকে ৫০০ ডলার বিনিয়োগে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫.০৯ ডলার পর্যন্ত লাভ, ৫০১ থেকে ৯০০ ডলার বিনিয়োগে প্রতিদিন ১০.৯৩ থেকে ১৪.৬৪ ডলার পর্যন্ত লাভ, ৯০১ থেকে ১৫০০ ডলার বিনিয়োগে ১৮-২৪.৪০ ডলার পর্যন্ত লাভ, ৩৫০১ থেকে ৫০০০ ডলার বিনিয়োগে ৮৫ থেকে ১২৫ ডলার পর্যন্ত এবং ৫০০১ ডলার থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত বিনিয়োগে প্রতিদিন ১১০ থেকে ১৬০ ডলার পর্যন্ত লাভ হতে পারে বলে লোভ দেখানো হয়।