মামলা জটিলতা নিরসনে দুই বছর পর তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির প্রায় ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল দিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এবার চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও ৫০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শূন্যপদ পূরণে সরকারের এজেন্ডার অংশ হিসেবে এ নিয়োগ চলতি বছরের মধ্যেই শেষ করতে চায় এনটিআরসিএ।
ইতোমধ্যে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তৈরির কার্যক্রম শুরু করেছে এনটিআরসিএ সংশ্লিষ্টরা। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে কত পদের বিপরীতে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে তা নিয়ে হিসাব-নিকাশ চলছে। তবে অর্ধ লাখ শিক্ষক পদের বিজ্ঞপ্তি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সচিব ড. এ টি এম মাহবুব-উল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, মুজিববর্ষে শূন্যপদগুলো পূরণ করার একটি এজেন্ডা রয়েছে। আশা করি, চলতি বছরের মধ্যে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদের বিপরীতে শিক্ষক নিয়োগের কাজটি শেষ করতে পারব। আগামী তিন মাসের মধ্যে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। ইতোমধ্যে আমরা এ বিষয়ে যাবতীয় কার্যক্রম শুরু করেছি।
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত শূন্যপদ ধরে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে ৫৪ হাজারের বেশি পদ ফাঁকা ছিল। এরপর দুই বছরের বেশি সময়ে যে পদগুলো ফাঁকা হয়েছে, সে পদগুলোর বিপরীতে এবার চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
এদিকে তৃতীয় গণনিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৮ হাজার ৪৪৮টি পদে কোনো আবেদন না পাওয়ায় এবং ৬ হাজার ৭৭৭টি মহিলা কোটা পদে মহিলা প্রার্থী না পাওয়ায় মোট ১৫ হাজার ৩২৫টি পদে ফলাফল দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ পদগুলো চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে যোগ করা হবে। এছাড়া এপর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার শূন্য পদের চাহিদা পেয়েছে এনটিআরসিএ। সব মিলিয়ে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে অর্ধ লাখ শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। তবে এ পদের সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে।
এর মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েও নানা জটিলতায় এক হাজার ২৮৪ জনকে শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া যায়নি। সম্প্রতি তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যোগদানের ব্যবস্থা করেছে এনটিআরসিএ।
তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির মতো চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগের কোনো পরিবর্তন না এলেও আবেদন ফির পরিমাণ কমানো হচ্ছে। আগে প্রতি স্কুলে আবেদনের জন্য ১৮০ টাকা লাগলেও এখন চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে একজন প্রার্থীকে দিতে হবে ১০০ টাকা। একজন প্রার্থী ইচ্ছা মতো আবেদন করতে পারেন। প্রার্থী প্রথমে বিভাগ, তারপর জেলা এবং উপজেলায় প্রবেশ করে আবেদন করতে পারবেন। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ১০০ টাকা করে লাগবে।