একুশের অনুষ্ঠানে শহীদ মিনারে ধর্ষণবিরোধী নাটক

0
16
একুশের অনুষ্ঠান
একুশের অনুষ্ঠানে শহীদ মিনারে ধর্ষণবিরোধী নাটক

সম্প্রতি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও নোয়াখালীতে একের পর এক ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার মধ্যে একুশের অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ধর্ষণবিরোধী নাটক মঞ্চস্ত করতে যাচ্ছে নাট্যদল সময়।

জনপ্রিয় কথাসহিত্যিক হূমায়ুন আহমেদের ছোটগল্প ‘পিঁপড়া’ অবলম্বনে এর নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন নাট্যজন আকতারুজ্জামান।

ধর্ষণবিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধির বার্তা দেয়া এই নাটকে অভিনয় করছেন – ফখরুল ইসলাম মিঠু, মাহমুদুল আলম, সাইফুল বাবু, সাঈফ, রাকিব আল হাসান, মুক্তা ও জুঁই। নাটকটিতে পোশাক পরিকল্পনা করেছেন মানসুরা আক্তার লাভলী।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত অমর একুশের অনুষ্ঠানে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রদর্শিত হবে সময় প্রযোজিত নাটক ‘পিঁপড়া’।

‘একুশ মানে মাথানত না করা’ স্লোগানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে অমর একুশের অনুষ্ঠানমালা। ওইদিন বিকালে ৯ দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতিজন রামেন্দু মজুমদার।

জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আয়োজনে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানমালার আহ্বায়ক ঝুনা চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আহ্কাম উল্লাহ।

অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধনের সময় রামেন্দু মজুমদার বলেন, একুশ মানে হচ্ছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়া। আমরা সংস্কৃতিকর্মীরা যখনই অন্যায় দেখেছি প্রতিবাদ করেছি। আমাদের দুর্ভাগ্য স্বাধীনতা অর্জনের ৫২ বছর পরও আমাদের দেশে অপশক্তি কোন কোন ক্ষেত্রে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব বিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে রামেন্দু মজুমদার বলেন, এমন জঘন্য ঘটনার শুধু ধিক্কার জানালেই হবে না, এদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি।

শিক্ষাক্ষেত্রে এমন অন্যায় আমরা কখনোই মেনে নেব না। আমরা আশা করব, বাংলাদেশে যতদিন একটা মানবিক অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠা না হচ্ছে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদের তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতি বার্তা ছড়িয়ে দিতে পারলে উন্নত জাতি হিসেবে আমরা নিজেদের দাবি করতে পারব।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অতিথিরা। পরে শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ সংগীত পরিবেশন করেন গণসংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের শিল্পীরা।

স্বাগত বক্তব্যে আহ্কাম উল্লাহ বলেন, আমরা এখনো দেখছি নারী ও পুরুষের সম্প্রীতির সংকট। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একুশের অনুষ্ঠানমালা চলবে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং শুরু প্রতিদিন বিকেল ৫টায়। ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রায়ের বাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের অমর একুশের অনুষ্ঠানমালা চলবে।