উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ধসে ১৪ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১৭০

0
46
উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ধস

ভারতের উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ধসের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় এ পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে ১৭০ জন। কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় রোববার সকালে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার অলকানন্দ ও ধৌলিগঙ্গা নদীর উপর হিমবাহ ভেঙে পড়ে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হিমবাহ ধসের পর ধৌলিগঙ্গা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং এতে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, ঋষিগঙ্গা নদীর উপর তৈরি হওয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নির্মাণাধীন ওই প্রকল্পে কাজ করছিলেন বেশ কিছু শ্রমিক। তারাও এই দুর্ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন।

ধৌলিগঙ্গা হিমবাহ ধসের কারণে তপোবনও ক্ষতির মুখে পড়েছে। সেখানের বাঁধও এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। এই ধ্বংসযজ্ঞে কতটা ক্ষতি হয়েছে তা পুরোপুরি পরিষ্কার নয়।

উত্তরাখণ্ডের চার জেলায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। উদ্ধার কাজের জন্য শ’খানেক আইটিবিপি জওয়ানকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা ভিডিওগুলোতে প্রবল বন্যার পানি দেখা যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর ছবিও এসেছে বিভিন্নজনের পোস্টে। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় সিং রানা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ঘটনা এত দ্রুত ঘটেছে যে কাউকে সতর্ক করার সময়ও ছিল না।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টি ও প্লাবনের জেরে চামোলির রেনি গ্রামে ঋষিগঙ্গা প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অলকানন্দায় নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি টুইটে বলেন, উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়ে আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আইটিবিপি ও এনডিআরএফের ডিজিদের সঙ্গেও কথা বলেছি। এনডিআরএফ দলগুলো উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। উত্তরাখণ্ডের এই দেবভূমিকে সব রকম সহায়তা প্রদান করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, উত্তরাখণ্ডের এই দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির উপর আমি নজর রাখছি। ভারত উত্তরাখণ্ডের সঙ্গে রয়েছে। সবার সুরক্ষার জন্য প্রার্থনা করছি আমরা। উচ্চপদস্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অবিচ্ছিন্নভাবে কথা বলা হচ্ছে। এনডিআরএফ মোতায়েন, উদ্ধার কাজ এবং ত্রাণ কার্যক্রমের বিষয়ে সমস্ত খবর নিচ্ছি।