ইরানের প্রেসিডেন্টকে সৌদি সফরের আমন্ত্রণ

0
6
ইরানের প্রেসিডেন্টকে সৌদি সফরের আমন্ত্রণ
ইরানের প্রেসিডেন্টকে সৌদি সফরের আমন্ত্রণ

মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী এই দু’টি দেশ নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে সম্মত হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে সৌদি আরবে সরকারি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে রিয়াদ। সৌদি বাদশাহ সালমান চিঠি পাঠিয়ে নিজেই আনুষ্ঠানিভাবে এই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।

সোমবার (২০ মার্চ) এক প্রদিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের পাঠানো চিঠিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে রিয়াদে সরকারি সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে সৌদি আরব এখনও এ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

বিবিসি বলছে, মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ইতিহাস সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে বৈরিতার কথাই বলে। তবে চীনের মধ্যস্ততায় সম্প্রতি ইরান এবং সৌদি আরব সাত বছর পর আবার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হয়েছে। এর ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশের মধ্যে আবার বাণিজ্য এবং নিরাপত্তা সহযোগিতাও শুরু হবে।

সেই সাথে দুই মাসের মধ্যে দু’দেশ পরস্পরের রাজধানীতে তাদের দূতাবাসও খুলবে। যা পশ্চিম এশিয়ার এই অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিকে নতুন আকার দিতে পারে।

মোহাম্মদ জামশিদি নামে ইরানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সৌদি রাজধানী রিয়াদ সফরের আমন্ত্রণ সম্পর্কে টুইট করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট রাইসি সৌদির আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং ‘সহযোগিতা প্রসারিত করতে ইরানের প্রস্তুতির ওপর জোর দিয়েছেন’।

পৃথকভাবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান সাংবাদিকদের বলেছেন, দুই দেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে একটি বৈঠক করতে সম্মত হয়েছে এবং বৈঠকের তিনটি সম্ভাব্য স্থানের নামও প্রস্তাব করা হয়েছে। অবশ্য তিনি স্থানগুলোর নাম বলেননি এবং ঠিক কবে এই বৈঠক হতে পারে তাও বলেননি।

বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য সম্পাদক সেবাস্টিয়ান উশার বলেছেন, চীনের মধ্যস্থতায় কয়েকদিনের আলোচনার পর অপ্রত্যাশিতভাবে আসা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সাম্প্রতিক উন্নতি ব্যাপক গতি তৈরি করছে বলে মনে হচ্ছে। উভয় দেশই ঘোষণা করেছে, তারা দুই মাসের মধ্যে একে অপরের দেশে আবারও দূতাবাস খুলবে এবং বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।

অতীতে এই দুই দেশের মধ্যে সমঝোতার বহু প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর সাম্প্রতিক এই অগ্রগতিকে যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘসহ অনেকেই সতর্কভাবে স্বাগত জানিয়েছে।

সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং ইরান ও চীন- দুই দেশের সঙ্গেই তাদের সম্পর্কে টানাপোড়েন আছে। আবার ইয়েমেনে যে গৃহযুদ্ধ চলছে, সেখানে ইরান এবং সৌদি আরব দুই পরস্পরবিরোধী পক্ষকে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে থাকে।