আসছে আমের মৌসুম

0
85
আসছে আমের মৌসুম
আসছে আমের মৌসুম

বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল হলেও ফলের রানী আমের জনপ্রিয়তার শেষ নেই। আকার, বাহার আর ঘ্রাণে তার জুড়ি মেলা ভার। পুষ্টিতেও ভরপুর। বৃহত্তর রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর ও রংপুর আমের জন্য বিখ্যাত। ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ফজলি, হিমসাগর, মোহনভোগ, গোলাপ খাস, সূর্যপুরি, মিসরি ভোগ, আশ্বিনাসহ প্রায় কয়েক শ’ জাতের আম উৎপাদন হয় এসব অঞ্চলে।

কম বেশি সকলেই রসালো মৌসুমি ফল আম খেতে পছন্দ করে। মূলত মে থেকে সেপ্টেম্বর মোট ৫ মাস আমের মৌসুম থাকে। সবচেয়ে বেশি আম পাওয়া যায় জুন থেকে জুলাই মাসে। ১৫ মে থেকে উন্নত জাতের আমের মৌসুম শুরু হয়। চলে সেই প্রায় আগস্ট মাস পর্যন্ত। পুরোটা সময় বাজারে নানান জাতের আমের দেখা মেলে।

জাতভেদে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই পরিপক্ব হয়ে থাকে নানান প্রজাতির আম। যেমনঃ গোপালভোগ ২৫ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত, রানীপছন্দ ১ থেকে ১৫ জুনের মধ্যে, ক্ষীরসাপাত আম ৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত,ফজলি ৮ থেকে ২৫ জুন, বারি আম-২ (লক্ষ্মণভোগ) ১৫ জুন থেকে ১৫ জুলাই, বোম্বাই ১২ জুন থেকে ৫ জুলাই, ল্যাংড়া ১৫ জুন থেকে ১৫ জুলাই, হাঁড়িভাঙা ২০ জুন থেকে ৫ আগস্ট, আম্রপালি ২৮ জুন থেকে ২৫ জুলাই, ফজলি ৩০ জুন থেকে ৩০ জুলাই, বারি আম-৪ ৭ জুলাই থেকে ২০ জুলাই, মল্লিকা ৭ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট, মোহনভোগ ৮ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই এবং আশ্বিনা ২০ জুলাই থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর।

উল্লেখ্য, প্রতি বছরই আম নিয়ে নিরাপদ হীনতায় ভোগে ভোক্তা। কেননা কোনটা ফরমালিন যুক্ত আর কোনটা ফরমালিন ফ্রি আম পরীক্ষা করা বেশ কঠিন। বাগান মালিকেরা বেশী দামের লোভে, পরিপক্ব হওয়ার আগেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে আম বিক্রি করে দেয়। আর এই অসাধু ব্যবসায়ী চক্র মেডিসিন দিয়ে বাজারে সেই আম সরবরাহ করে থাকে। এরফলে ক্যামিকেল যুক্ত আমে সয়লাব হয় বাজার। আর এমন রাসায়নিক দ্রব্য আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কাজেই এই অসাধু চক্র থেকে রক্ষা পেতে হলে বাগান মালিকদের এক হয়ে যথাসময়ে আম প্রক্রিয়াজাতকরণের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।