আজ দেখা যাবে সূর্যগ্রহণ। যার নাম ‘হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ’। এ সূর্যগ্রহণের প্রধান বিশেষত্ব হলো চাঁদের ছায়া সূর্যের আকৃতির থেকে ছোট হয়।
ফলে চাঁদ পুরোপুরিভাবে সূর্যকে আড়াল করতে পারে না। চাঁদের ছায়াকে ছাপিয়ে সূর্যের সোনালি বৃত্ত চারপাশ থেকে দৃশ্যমান হয়।
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) বলছে, ২০২৩ সালের প্রথম সূর্যগ্রহণ এটি। চলতি বছরে মোট চারটি গ্রহণ হবে। দুটি সূর্যগ্রহণ ও দুটি চন্দ্রগ্রহণ। আগামী ২০ এপ্রিল বৈশাখী অমাবস্যার দিনে ঘটবে বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ। এ গ্রহণ সকাল ৭টা ৪ মিনিটে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা ৩৯ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে। চলতি বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ হবে ১৪ অক্টোবরে।
২০১৩ সালে একবার দেখা মেলে এ সূর্যগ্রহণের। মহাকাশবিদরা জানান, দুটি ‘হাইব্রিড’ সূর্যগ্রহণের মধ্যে সাধারণত ১০০ বছরের বিরতি থাকে। তবে ২০১৩ সালের পর ২০২৩ সালে এ সূর্যগ্রহণের ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল বলে জানান তারা।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় বিরল এ মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হবে পৃথিবী। এ সময়ে মধ্যখানে অন্ধকার আর চারদিকে রক্তিম সোনালি বলয়ের কারণে সূর্যকে দেখতে একটি সোনার আংটির মতো দেখাবে। যাকে বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য বলে অবিহিত করেছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
মহাজাগতিক এ বিরল হাইব্রিড সূর্যগ্রহণের দৃশ্য কোথায়, কখন, কীভাবে দেখতে পাবেন তা নিয়ে জনমনে নানা জল্পনা-কল্পনা ও কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে।
বিরল এ সূর্য গ্রহণটি দেখা যাবে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলের এক্সমাউথে। অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও আরও বেশকিছু এলাকা যেমন ফিলিপিন্স, নিউজিল্যান্ড, ইস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া থেকে আংশিক দেখা মিলবে এ হাইব্রিড সূর্যগ্রহণের।