আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে এবং দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্য ১৪ জুলাই (বুধবার) মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত সব বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। অর্থাৎ ৮ দিন সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। বিধিনিষেধ শিথিল করায় মধ্যরাত থেকে দেশব্যাপী দূরপাল্লার বাস ও লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপন জারির পরই বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচলের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে এসব খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে এক সিট ফাঁকা রেখে, ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চলাচল করবে। ঈদ উপলক্ষে বুধবার সরাসরি ও অনলাইনে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। এক কথায় আমরা সরকারি নির্দেশনা মেনেই পরিবহন চালু করার নির্দেশনা দিয়েছি।
গত মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানায়, বুধবার (১৪ জুলাই) মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করবে। ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত যাত্রীবাহী নৌযান পুনরায় চলাচল বন্ধ থাকবে।
দীর্ঘদিন পর বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল চালু হওয়ায় খুশি পরিবহন খাতের সংশ্লিষ্টরা। গতকাল রাত থেকেই বাস-লঞ্চ ও ট্রেন টার্মিনালে কর্মীদের কর্ম ব্যস্ততা শুরু হয়। সেই সঙ্গে খুশি সাধারণ মানুষও। অনেক দিন পর বাড়িতে যেতে পারছেন তারা।