আজ থেকে শুরু হচ্ছে এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে অধীনে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন ছাত্রী।
এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৩ হাজার ৮১০টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২৯ হাজার ৭৯৮টি। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে কেন্দ্র ২ হাজার ২৪৪টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১৭ হাজার ৭৮৬টি।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে মোট কেন্দ্র ৭১৬টি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৮৫টি। কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে মোট কেন্দ্র ৮৫০টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ হাজার ৯২৭টি। এবার মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭ টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০ টি।
এ বছর পুনর্বিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার সময় সকাল ১০টা এবং শেষ হওয়ার সময় দুপুর ১টা। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার হলে অবশ্যই প্রবেশ করতে হবে।
৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের গ্রুপভিত্তিক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বিজ্ঞান বিভাগে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৪ জন, মানবিকে ৮ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৫ জন ও ব্যবসায় শিক্ষায় ২ লাখ ৮০ হাজার ৮১৬ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে।
কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ
এদিকি বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানান, ২০২৩ সালের এসএসসি ও এসএসসি (ভোকেশনাল), দাখিল ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষা আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। যেহেতু পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সেহেতু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/১৯৭৬) এর ২৮ ও ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী ছাড়া জনসাধারণের অনধিকার প্রবেশ
সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে।
প্রশ্নফাঁস ও গুজব ঠেকাতে যেসব পদক্ষেপ
জানা গেছে, পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বিটিআরসিকে সর্বোচ্চ সতর্ক রাখা হয়েছে। যেসব গ্রুপ বা ব্যক্তি ফেসবুকে প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়াবে বা প্রশ্নফাঁস করে দেবে বলে প্রচারণা চালাবে তাদের আইডি শনাক্ত করে পুলিশের বিশেষ শাখা এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে দেওয়া হবে। এ রকম গুজব সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের মোবাইল লেনদেনও নজরদারিতে থাকবে।
পরীক্ষা চলাকালে ফেসবুকে প্রশ্নফাঁস নিয়ে গুজব এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সন্দেহজনক লেনদেনে নজর রাখা হবে। প্রশ্ন ছাপানোর সঙ্গে সম্পৃক্ত বিজি প্রেসের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হবে। এমনকি প্রশ্ন সর্টিং ও বহনে জড়িত শিক্ষক ও কর্মকর্তারাও থাকবেন নজরদারিতে।