বাংলাদেশের পক্ষে অনির্দিষ্টকালের জন্য রোহিঙ্গাদের বোঝা বহন করা সম্ভব নয়। এছাড়া এ অঞ্চলের সংকট মোকাবিলায় আসিয়ান নেতাদের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার (০৬ আগস্ট) দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার জোট- আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের ২৮তম সভায় ভার্চুয়ালি যোগদান করে বক্তব্য রাখেন তিনি।
আব্দুল মোমেন বলেন, শুধুমাত্র মানবিক দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। ৬ হাজার ৮শ’ একর সার্বভৌম বনভূমি আপস করে বাংলাদেশের পক্ষে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ বোঝা বহন করা সম্ভব নয়। এ অঞ্চলের জলবায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব প্রশমনের জন্য তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্ব নেতাদের সহযোগিতা কামনা করেন।
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের ভূমিকা সম্পর্কে সভাকে অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন করতে নেতাদের ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ গ্রহণেরও আহ্বান জানান। সম্মলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিভিন্ন আঞ্চলিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। উঠে আসে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, পরমাণু, সাইবার নিরাপত্তা ও অন্যান্য আঞ্চলিক সমস্যা। এআরএফ-এর গতিশীল নেতৃত্বে এ অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সুশাসন ও শক্তিশালী অর্থনীতির ভীত রচিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আব্দুল মোমেন।
এআরএফ সদস্য দেশ অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, সিঙ্গাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন দ্রুততম সময়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে একমত প্রকাশ করেন। তারা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ স্বদেশ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।