অনন্ত প্রেম ও বিদ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলাম

0
18
বিদ্রোহের কবি
অনন্ত প্রেম ও বিদ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলাম

আমি চির-দুরন্ত দুর্মদ,
আমি দুর্দম, মম প্রাণের পেয়ালা হর্দম হ্যায় হর্দম ভরপুর মদ।

আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী। তিনি ছিলেন সাম্যের কবি, বিরহ ও বেদনার কবি, বিদ্রোহের কবি।

 

তার লেখা গান কবিতা আজীবন বাঙালির জীবন সংগ্রাম ও স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রেরণার উৎস হয়ে বেঁচে থাকবে। ১৮৯৯ সালের ২৫শে মে পশ্চিমবঙ্গের এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন দুখু মিয়া।

বাবা কাজী ফকির আহমেদ স্থানীয় মসজিদে ইমামতি করতেন। মা জাহিদা খাতুন। বাল্যকালে ভবঘুরে নজরুলের প্রায় সময় কাটত বাসার বাহিরে।

বাল্য বয়সে স্থানীয় মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজ করতেন তিনি। কৈশোরে ভ্রাম্যমাণ নাটক দলের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে সাহিত্য, কবিতা ও নাটকের সঙ্গে পরিচিত হন। টাকা পয়সার অভাবে পড়াশোনা করতে পারেননি। জীবিকার তাগিদে রুটি বানানোর কাজ করেছেন দুখু মিয়া।

কাজী নজরুল ইসলাম কখনও গান গাইছেন, কখনও পত্রিকা সম্পাদনা করছেন, কখনও রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাজী নজরুল ইসলামকে বর্ণনা করেছিলেন ‘ছন্দ সরস্বতীর বরপুত্র’ হিসাবে।

জাতীয় কবির জন্মদিন উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে নজরুলের কবিতা ও গান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেছেন, কবি নজরুল তার প্রত্যয়ী ও বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তি সংগ্রামে অনুপ্রাণিত ও উদ্দীপ্ত করেছেন। নজরুল সাহিত্যের বিচিত্রমুখী সৃষ্টিশীলতা আমাদের জাতীয় জীবনে এখনো প্রাসঙ্গিক।

এদিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখনীর আবেদন চিরদিন নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা জোগাবে। তার কবিতা ও গানে ভালোবাসা, মানবতা ও সাম্যের বাণী বিধৃত হয়েছে।

আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসংলগ্ন জাতীয় কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে বাংলা একাডেমি। আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে শিল্পকলা একাডেমি। এতে প্রধান আলোচক থাকবেন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল্লাহ খান। প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ।