বিশ্ব করোনায় দৈনিক মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাড়ে ৪ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা নেমেছে প্রায় ৩ লাখে।
বিশ্ব করোনায় এখন পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ৪৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫০ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ কোটি ৫৭ লাখ ১৬ হাজার ৫৭৬ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১ কোটি ২৫ লাখ ৮০ হাজার ৪৬৪ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে। এ সময় মৃত্যু হয়েছে চার হাজার ৫৮২ জনের। শনাক্ত হয়েছে তিন লাখ এক হাজার নয়জন।
এর আগে, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্ব করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে। এ সময় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজার ৬৯০ জনের, শনাক্ত হয়েছে তিন লাখ ৪৯ হাজার ৭৪২ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছে চার কোটি ৪৫ লাখ ১৮ হাজার ৪৩৭ জন। মৃত্যু হয়েছে সাত লাখ ১৯ হাজার ৯৩৩ জনের।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় নতুন সংক্রমণের সংখ্যা কমেছে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৯৩৩ জন এবং মারা গেছেন ২৫৯ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৪৫ লাখ ১৮ হাজার ৪৩৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭ লাখ ১৯ হাজার ৯৩৩ জন মারা গেছেন।
বিশ্ব করোনায় আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় তিন কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার ২৪৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৪৯ হাজার ২৯ জনের।
আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন দুই কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১২১ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে পাঁচ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৬ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৭৯ লাখ ৬৮০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৩৬ হাজার ৯৫৩ জন।
পঞ্চম স্থানে থাকা রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫ লাখ ৮৬ হাজার ৫৩৬ জন। মারা গেছেন দুই লাখ নয় হাজার ৯১৮ জন।
তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৯ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৯৬৪ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৫৭৩ জন। আর ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৭৫৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।